এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯৬ জনে।
সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী ওই এলাকায় প্রশাসনকে শিগগরই পানির সমস্যা সমাধান করার তাগিদ দেন।
অন্যথায় এ সমস্যা স্বাস্থ্য অধিদফতরের নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে তিনি দাবি করেন।
আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কিছুদিন আগে সরকারি হিসাব মতে ১৭৮ জন জন্ডিস আক্রান্ত রোগীর তথ্য পাই।
তিনি জানান, বৃহত্তর হালিশহরে পানির সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা দরকার।
শুধু হালিশহর নয়, নগরের আগ্রাবাদেও ১২ জন জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা পপুলার হাসপাতাল, সিএসিসিআর ও ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শেষ সেমিস্টারের ছাত্র রাহাত আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিকের বেপারি পাড়া এলাকায় ১২ জন জন্ডিস আক্রান্ত হওয়ার তথ্য আছে। এ ছাড়া আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি দাবি করে তিনি বলেন,বেপারি পাড়া এলাকায় আক্রান্ত মানুষজনকে দেখতে কেউ আসেনি। এ নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যে মানববন্ধন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান বলেন, পুরো চট্টগ্রামে এ রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। যেখানে আক্রান্তের খবর পাচ্ছি সেখানে আমাদের টিম যাচ্ছে। আগ্রাবাদের আক্রান্ত এলাকায়ও যাবে। হালিশহরের মতো সেখানেও বিনামূল্যে চিকিৎসা ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
জেইউ/টিসি