ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইডিইউতে ক্যাম্পাস আড্ডা

সহপাঠী মেয়ে যারা কেমন তারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
সহপাঠী মেয়ে যারা কেমন তারা ...

চট্টগ্রাম: ‘বন্ধুত্বের হয় না পদবি/ বন্ধু তুমি কেঁদো না/ বন্ধু সবুজ চিরদিন/ বন্ধুত্বের বয়স বাড়ে না।’ অঞ্জন দত্ত গানে গানে বলেছিলেন বন্ধুত্বের কথা। সত্যিই তাই। ভাবনা, চিন্তা ও ভালোলাগার জায়গাগুলো যার সঙ্গে মিলে যায় বন্ধুত্ব তো সেখানেই।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে একসঙ্গে পড়ালেখা করতে গিয়ে ছেলেদের সহপাঠী হন মেয়েরা। হইচই ক্যাম্পাস জীবনে তাদের সঙ্গে জমে ওঠে আড্ডা, নোট আদান-প্রদান কিংবা জীবনের সুখ-দুঃখ।



চলার পথে কতোটা আপন হন মেয়ে সহপাঠীরা? চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির তিন মেধাবী ছাত্র বলেছেন তাদের মেয়ে সহপাঠীদের নিয়ে।

অনেক বেশি বিশ্বস্ত: রাফসান মাহবুব
আমি বলবো সহপাঠী হিসেবে মেয়েরা এককথায় অনেক বেশি বিশ্বস্ত।

একটু আলাদা। তাদের ভেতর ভালো করার প্রতিযোগিতার মনোভাব থাকে। এ প্রতিযোগিতা কখনোই কোনো ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে নয়। নিজের সঙ্গে নিজের। আমি সবসময় তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়ে আসছি।

ক্লাস, পরীক্ষা অথবা যেকোনো বিপদে-আপদে তাদের পরামর্শ পাই। দুঃসময়ে পাশে থাকে। ভালো লাগে। একটি বিষয় খুবই পছন্দ তা হচ্ছে ক্লাসে মেয়ে সহপাঠীদের কাছে সবসময় খাতা-কলম-নোট-বই তাদের ব্যাগে থাকে। এর কারণ তারা পড়ালেখায় খুব সিরিয়াস। যা আমরা ছেলেরা অনেক পিছিয়ে আছি।

আমার নিজের পারিবারিক অনেক ব্যক্তিগত সমস্যায় কয়েকজন মেয়ে সহপাঠীর যে পরামর্শ পেয়েছি তা কখনোই ভোলার নয়। এ ছাড়া কোনো বন্ধু অসুস্থ হয়ে পড়লে, ক্লাসে না আসলে তারা এসএমএস পাঠিয়ে খোঁজ নেয় পরিবারের সদস্যদের মতো।  
 
কখনোই ক্ষতি চায় না: নাহিয়ান জাওয়াদ মেয়ে সহপাঠীদের মধ্যে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ফারাহ তাসনি। তবে একজনের কথা বলবো না। তার মতো এমন আরও ৪/৫ জন আছে। যাদের সবার ভেতর বেশ কিছু মানবিক গুণাবলি আছে যা সহপাঠী হিসেবে আমাকে মুগ্ধ করে।

প্রথমত, আমি কখনোই তাদের ভেতর অন্যের ক্ষতি হোক এমন কিছু প্রত্যাশা করতে দেখিনি। যেন বন্ধুর কল্যাণ কামনাই প্রিয় বন্ধুর পরিচায়ক। দ্বিতীয়, তারা খুব ভালো শ্রোতা। মনোযোগ দিয়ে কথার শোনার আগ্রহটা রয়েছে। ফলে ওদের সঙ্গে কথা বলে হালকা হওয়া যায়। তৃতীয়ত, স্বভাবসুলভভাবেই মেয়ে সহপাঠীরা অনেক বিনয়ী।

আমি যখনই কোনো সমস্যায় পড়ি তখনই তাদের সঙ্গে আপন ভেবে সেটা নিয়ে আলাপ করি। দু-একজন আবার ভালো কাজের জন্য ভীষণ উৎসাহিত করেন। একজন ছেলে হিসেবেও আমি তাদের শ্রদ্ধা করি। হাজার হোক মা-বোনদের অনুসারী বলে কথা!    
 
ক্যারিয়ার নিয়ে সিরিয়াস: নাহিদ বিন হায়দার

আমার মেয়ে সহপাঠীদের মধ্যে কয়েকজনের নাম না বললেই নয়। তারা হলেন-প্রমি, মেহজাবীন, সাকিয়া, রাওদা, রাহা ও শাহরীন। ওদের সঙ্গে আড্ডা দিলে দু’বেলা দু’রাত মনোযোগ দিয়ে না পড়ার উপায় নেই! ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস। এটা একজন ছেলে হিসেবে আমাকেও অনেক উৎসাহিত করে।

আর তাদের অন্যান্য বিষয়ে যদি বলতে চাই তাহলে বলবো অনেক বেশি আড্ডাবাজ। কথা বলতে যেমন পছন্দ করে, তেমনি শুনতেও। পারেও বটে! এখন পর্যন্ত অনেক সহযোগিতা পেয়েছি মেয়ে সহপাঠীদের কাছ থেকে।

গ্রুপ স্টাডি, অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার কথাটা তারাই মনে করিয়ে দেয় আমাকে।  

লেখক ওয়াল্টার উইনচেল বলেছেন, প্রকৃত বন্ধু হলো সেই যে তোমার পাশে থাকবে, যখন সারা বিশ্ব চলে যাবে অন্য পাশে। আমার প্রতিটি মেয়ে সহপাঠী একজন ভালো বন্ধু। তাদের নিজের পরিবারের একজন মনে করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad