ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিডিএর ছালামও নেই, প্রতিনিধিও নেই!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
সিডিএর ছালামও নেই, প্রতিনিধিও নেই! নগর উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির (সিডিসিসি) সভা। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: নগরের বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রধানদের নিয়ে নগর উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির (সিডিসিসি) সভায় প্রায় সকল সংস্থার প্রধান বা প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম আসেননি।

রোববার (২৪ জুন) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশের (চসিক) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত নগর উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সিডিএর কোনো প্রতিনিধিও অংশ নেননি।

এতে সমন্বয় সভায় নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া একক বৃহৎ প্রকল্প নিয়ে তেমন কোন ফলপ্রসু আলোচনা হয়নি।

এ বিষয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘নগরে হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। চট্টগ্রামে এ চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে দৃশ্যমান উন্নয়ন পরিলক্ষিত হবে।

 এগুলো বাস্তবায়নে নগর পরিকল্পনাবিদ এবং সংশ্লিষ্টদেরকে সমন্বয় করা জরুরি। বাস্তবায়নাধীন এসব প্রকল্প টেকসই হতে হবে। সিডিএ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তদারকি করছে সেনাবাহিনী। যেহেতু এটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় হচ্ছে। এখানে আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। সেই হিসেবে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প এই বর্ষায় কি কি কাজ করা হবে এবং প্রকল্পের বাকি কাজগুলো কিভাবে সম্পন্ন করবেন, কতদিনের মধ্যে করবেন? এসব বিস্তারিত বিষয়গুলো আমাদের জানা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে কি কি কাজ সম্পন্ন করেছেন এবং আর এ বর্ষা মৌসুমে কি কি করার পরিকল্পনা আছে, আমাদের ওয়ার্ক সিডিউলটা জানা প্রয়োজন। ’

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে সমন্বয় সাধন অপরিহার্য। এ সমন্বয় সভা সংস্থার প্রধানদের। ’ যোগ করেন সিটি মেয়র।

তিনি আরও বলেন, আমাদের চসিকের কাউন্সিলরেরা বলেছেন জলাবদ্ধতা প্রকল্প কাজে নালা সমূহ পরিষ্কার করার সময় স্লাব উঠানো হচ্ছে। কিন্তু কাজ শেষে স্ল্যাবগুলো নালার ওপর বসানো হচ্ছে না। অথচ অধিকাংশ নালার স্ল্যাব ফুটপাত হিসেবে ব্যবহার হয়। এতে মানুষের হাটা চলায় অসুবিধে হচ্ছে। অনেক নগরবাসীকে জানে না, কোন প্রতিষ্ঠান কি কাজ করছে। যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করবে, তারা যাতে দায়িত্ব নিয়ে এসব কাজগুলো করে। খালগুলো থেকে যে মাটিগুলো তোলা হচ্ছে, সেগুলো যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে ফেলে। এ সমস্ত বিষয়গুলো আমরা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিবো। যাতে জনগণের দুর্ভোগ, অসুবিধে না হয়।

মন্ত্রণালয়ে সভা থাকায় সমন্বয় সভায় উপস্থিত থাকা সম্ভব হয়নি জানিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম সমন্বয় সভায় আমি থাকতে পারবো না। যেহেতু মন্ত্রণালয়ে সভা আছে। বিষয়টি আমরা চসিককে অবহিত করেছি। এখানে ভুল বুঝার কোন সুযোগ নেই। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সেবাপ্রদানকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি দফতরসমূহের মধ্যে সমন্বয় করতে ২০১৬ সালের ২৭ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রে চট্টগ্রামে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করার দায়িত্ব পান চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত ওই পরিপত্রে বলা হয়েছিলো-‘সিটি করপোরেশনের অধিক্ষেত্রে সরকারি বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতরের প্রধানগণ সিটি করপোরেশনের আমন্ত্রণে সভায় যোগদান করতঃ সভায় গৃহিত সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি সিটি করপোরেশনকে অবহিত করবেন। ’

উন্নয়নকাজের সমন্বয়ে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।