আমাদের ২৪ পরিবারকে একছাদের নিচে আনার। সবাইকে বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হলাম।
এভাবেই নিজের পরিকল্পনার কথা বাংলানিউজকে জানালেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামটি তার হাতের ছোঁয়ায় ক্রমে বদলে যাচ্ছে। শুধু কি নিজের গ্রাম, বদলে যাচ্ছে আশপাশের গ্রামের মানুষের ভাগ্যও।
ঈদের কয়েকদিন আগে গ্রামের বাড়িতে আসেন অর্থসচিব। সঙ্গে ছিলেন তার ভাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী।
এ ক’দিন অর্থসচিব সকাল-বিকেল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন পুরো গ্রাম। কোথায় সড়ক ভেঙেছে, কোথায় সেতু দরকার, কোথায় কী সমস্যা, সমাধান কী ইত্যাদি নোট করেছেন তিনি। ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, হাঁটুপানি কিছুই বাধা হতে পারেনি তার পথচলায়। কখনো লুঙ্গি শার্ট, কখনো আবার পাঞ্জাবির সঙ্গে লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়িয়েছেন নিজের গ্রাম। যেটি ছেড়েছিলেন ৪০ বছর আগে।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় অর্থসচিব বলেন, আমি চাই কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার মানকে এমন পর্যায়ে উন্নীত করতে যাতে দুই-চার গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখানে এসে পড়াশোনা করে। এর জন্য যা যা করা দরকার আমি করতে চাই। ইতিমধ্যে বেশ কিছু কাজ শুরুও করে দিয়েছি। ৩০ বছর ধরে এলাকার মেধাবী সন্তান যারা টাকার অভাবে উচ্চ শিক্ষা নিতে পারছে না তাদের বৃত্তির ব্যবস্থা করে আসছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি মনে করি গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। এদেশের মানুষ বাঁচবে। তাই আমি এক মিনিটের জন্যও আমার নিজের গ্রামের মানুষকে ভুলতে পারি না। সবসময় তাদের কল্যাণের চিন্তা করি। শুধু আমার গ্রাম নয়, পুরো রাউজান, পুরো চট্টগ্রামের এমনকি পুরো দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
টিসি