ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোলাহলমুক্ত এ যেন এক অন্য বন্দরনগরী!

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
কোলাহলমুক্ত এ যেন এক অন্য বন্দরনগরী! ব্যস্ত বন্দরনগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা, কোলাহলমুক্ত।  ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত বন্দরনগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা, কোলাহলমুক্ত। নগরেরর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে কিছু সংখ্যক গাড়ি চলাচল করলেও অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে মার্কেট-শপিংমলগুলো এখনো জমজমাট।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শনিবার (১৬ জুন) ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে বলে আশা মানুষের। শুক্রবার কার্যত সরকারি ছুটি থাকলেও ঈদের ৩ দিনের সরকারি ছুটিও এদিন থেকে শুরু হয়েছে।

বেসরকারি, ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প, কল-কারখানাও বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্র-শনিবার ছিল সরকারি ছুটি।
এ হিসেবে কার্যত ছুটি শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকেই।

ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস সেরে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই মানুষে নগর ছেড়ে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। আর যারা বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন, তারা শুক্রবার বিকেল থেকে নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে বাস ও ট্রেনে করে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় রওয়ানা দিয়েছেন। বিমানেও চট্টগ্রাম ছেড়েছেন অনেকে।

ব্যস্ত বন্দরনগরী এখন অনেকটাই ফাঁকা, কোলাহলমুক্ত।   ছবি: সোহেল সরওয়ারশুক্রবার সকালে নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি, কোতোয়ালি, জিইসি, ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, টাইগারপাস, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফাঁকা রাস্তাঘাট দেখা গেছে। ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কম। পাশাপাশি গণপরিবহনের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে ৬০ লাখ নগরবাসীর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই নগর ছেড়েছেন। তবে নগরে রয়ে গেছেন আদি বাসিন্দা এবং যাদের ছুটি মেলেনি কিংবা একান্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে যারা যেতে পারেন নি। আবার নগরের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে ঈদের নামাজ আদায় শেষে নগরী ছাড়বেন।

ইলিয়াছ নামে চকবাজার এলাকার এক বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানান, ঈদের দিন নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের জামাত শেষ করে গ্রামের বাড়ি পটিয়ায় যাবো। সেখানে আত্মীয়স্বজনদের মঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবো। পরে আবারো শহরে চলে আসবো।

এদিকে নগর ফাঁকা হলেও নিউমার্কেট, হকার মার্কেটে চলছে স্বল্প আয়ের মানুষদের ঈদের কেনাকাটা। নগরের অন্যান্য অভিজাত মার্কেটগুলোতে বিকিকিনি কম হলেও হকার মার্কেটে পুরোদমে এখনো বিকিকিনি চলছে। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের লোকজন এ কেনাকাটা করছেন।

ঈদের ছুটি শেষে সবাই যখন নগরে ফিরে আসবে, তখন আবারো বন্দরনগরী প্রাণ ফিরে পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।