শুক্রবার (১৫ জুন) বেলা ১২টার দিকে নগরের চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারের নানামূখী পদক্ষেপের কারণে দেশের মানুষ নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যাথা বহু দিন আগের। এই ব্যাথা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তিনি পালন করেছেন। আমরা জেলে যাওয়ার আগে দেখতে পেলাম, হাত ধরে গাড়ি থেকে নামানো হতো, আবার হাত ধরে গাড়িতে ওঠানো হতো। তিনি তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলেন। তখন তিনি কারো হাত ধরা ছাড়াই গাড়ি থেকে নামলেন, আবার হাত ধরা ছাড়াই গাড়িতে ওঠলেন। এতে স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়, কারাবন্দি হওয়ার পর ওনার স্বাস্থ্য ভাল হয়েছে। ’
বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েই বিএনপির যত নোংরা রাজনীতি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কারাগারে তার স্বাস্থ্যসেবার জন্য সার্বক্ষনিক একজন মহিলা নার্স, একজন পুরুষ নার্স এবং একজন ডাক্তার রয়েছে। প্রতিদিন ডাক্তার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সপ্তাহে কিংবা দশদিন পরে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। যে ওষুধগুলো খাচ্ছেন, সেগুলো তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কর্তৃক প্রেসক্রাইভ করা। তিনি কারাগারে যাওয়ার আগে যে ওষুধ খেতো, সেই ওষুধগুলোই খাচ্ছেন। অথচ এগুলো নিয়েই বি্এনপির যত নোংরা রাজনীতি। আমরা দেখতে পেলাম বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মাহুবব হোসেন ক’দিন আগে বক্তব্য দিয়েছেন, বেগম জিয়াকে প্যারোলো মুক্তি দেওয়ার জন্য। তাহলে কি তারা বেগম জিয়াকে পালানোর সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টার কথা বলছেন। আমরা দেখেছি তারেক রহমান মুচলেকা দিয়েছিলো। তিনি আর কখনো রাজনীতি করবে না। তিনি কিন্তু ইংল্যান্ডে গিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। তো খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা বেগম জিয়াকে প্রকারান্তরে প্যারোলোর কথা বলে পালানোর সুযোগ দেওয়ার কথা বলার চেষ্টা করছেন। ’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহুমদ বলেন, ‘যানজট মুক্তভাবে ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরতে পারছে। অতিবৃষ্টি সড়ক কোন কোন জায়গায় নষ্ট হয়েছে। সেগুলো দ্রুত মেরামতের কার্যক্রম চলছে। চট্টগ্রামে শহরেও আপনারা সেটি দেখেছেন। কিন্তু বিএনপি চিরাচরিত মিথ্যাচারের ঝুড়ি নিয়ে বসেন, সকাল বেলা কিংবা বিকেল বেলা।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কেন্দ্রিয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বদিউল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৮
এসবি/টিসি