মসজিদগুলোর ছাদে ও বারান্দায় শামিয়ানা টাঙিয়ে বাড়তি মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য জায়গা করা হয়েছে। বড় বড় মসজিদ-মাজারগুলোর আশপাশে বসেছে আতর, টুপি, সুরমা, জায়নামাজ, তসবিহ, ধর্মীয় বই-পুস্তক বিক্রির দোকান।
নগরের লালদীঘিতে শাহসুফি হজরত আমানত খান শাহের (র.) দরগা মসজিদে ছিল উপচে পড়া ভিড়। নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, আলোচনা, মিলাদ, জেয়ারত, জিকিরে মশগুল মুসল্লিরা।
শাহসুফি হজরত আমানত খান শাহের (র.) দরগার শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ হাবিবউল্লাহ খান মারুফ বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ শবে কদরের রাতে নফল এবাদত করেন। সেহরির আগ পর্যন্ত মুসল্লিরা ইবাদতে মশগুল থাকেন। সারা রাত পুণ্যসঞ্চয়ে ভালো কাজ করেন তারা। মুরুব্বিদের কবর জেয়ারত করেন। কোরআন তেলাওয়াত করেন।
তিনি বলেন, শবে কদর আল্লাহ বান্দাদের জন্য ফজিলত ও বরকতের জন্য দিয়েছেন। এ রাতে গুনাহ মাফ করে দেন। দোয়া কবুল করেন।
নগরের ওয়াসার মোড়ের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ, মেহেদীবাগ সিডিএ জামে মসজিদ, চন্দনপুরা জামে মসজিদ, চকবাজার অলিখাঁ জামে মসজিদসহ প্রধান প্রধান মসজিদগুলোতে তারাবি নামাজের পর শবে কদরের তাৎপর্য ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা করা হয়।
নগরের আন্দরকিল্লা জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মো. আবু সাঈদ বলেন, লাইলাতুল কদর হচ্ছে হাজার মাসের শ্রেষ্ঠ রাত। ভাগ্যনির্ধারণের রাত। তাই সারা দিন রোজা রেখে আগেভাগে মসজিদে চলে এসেছি। মুরুব্বি ও আলেমদের মুখে শুনেছি যেখানে যত বেশি মুসল্লির সমাগম সেখানে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এসকে/টিসি