ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নগরের রাস্তা-খাল পানিতে একাকার!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
নগরের রাস্তা-খাল পানিতে একাকার! ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে একাকার চাক্তাই খাল ও সড়ক। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: চকবাজার ধনিরপুলের পরে বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথ। ওই পথের পাশে রয়েছে চাক্তাই খাল। কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে টইটম্বুর খালটি রাস্তার সঙ্গে মিশে গেছে। পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও।

২০১৭ সালের জুলাই মাসে চাক্তাই খালে পড়ে ৮ বছরের এক শিশু মারা যায়। তাই বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে চকবাজার চাক্তাই খালের আশপাশের বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন বাংলানিউজকে জানান, বছরের পর বছর বর্ষার মৌসুমে চাক্তাই খাল ও পাশের রাস্তা একাকার হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে কোমরপানি ভেঙে যাতায়াত করতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের।

নতুন অনেকে বুঝতে না পারে পড়ে যান খালে। এতে দুর্গতি বাড়ে তাদের।

মঙ্গলবার (১২ জুন) সরেজমিন দেখা যায়, চকবাজার ধনিরপুলের পরে চাক্তাই খাল ও রাস্তা পানিতে সমান হয়ে গেছে। কেউ যাতে খালে পড়ে না যায় সেজন্য চাক্তাই খালের পাড়ঘেঁষে বাঁশ ও লাল ফিতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কাগজ-কলমে এটিকে খাল বলা হলেও, জলাশয়ের চেহারা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে। বর্জ্যে ভরাট হয়ে গেছে খালটি। এখন রাস্তা আর জলাশয় বলে পৃথক কিছু নেই।

ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে একাকার চাক্তাই খাল ও সড়ক।   ছবি: সোহেল সরওয়ারমেরন সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশের ভবনে থাকা সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চকবাজার এলাকায় বসবাস করছি ২০ বছর। কোনোদিনও দেখিনি, খালে জমে থাকা বর্জ্য পরিষ্কার করতে, সংস্কার করতে। বাসার পাশে ছেলের কলেজ হওয়ায় এলাকা ছেড়ে যাইনি। না হয়, অনেক আগেই এলাকা ছেড়ে চলে যেতাম।

চকবাজার কাঁচাবাজারের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, বেঁচে আছি সেটি অনেক সৌভাগ্যের। যত্রতত্র বর্জ্য, রাস্তা সংস্কারের নামে খোঁড়াখুঁড়ি সব মিলিয়ে অসহ্য পরিস্থিতিতে দিন পার করতে হয় চকবাজারের বাসিন্দাদের। তার ওপর কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ডুবন্ত এলাকা। জীবন একেবারে অচল হয়ে গেছে!

এত পানি আগে দেখেনি ফটিকছড়ির মানুষ!
বাকলিয়া সরকারি স্কুলমাঠে মাছ ধরছে মানুষ!

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ১২ জুন ২০১৮
জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad