‘চমকে দেওয়া’ পাঞ্জাবির বৈশিষ্ট্য কী- জানালেন নিজেই। ‘ঋতুর সঙ্গে মানানসই, পরতে আরাম, বর্ণিল কারুকাজ, হাল ফ্যাশন এবং অবশ্যই অন্য সবার চেয়ে আলাদা, ভিন্ন কিছু।
কোথায় মিলবে এমন পাঞ্জাবির? আশেকের উত্তর- কয়েক মার্কেট ঘুরে বন্ধুদের পরামর্শে এখানে এসেছি ‘খাজা মেন্স’ এর আউটলেটে পাঞ্জাবি দেখতে। আশা করি সেখানে মিলবে।
আশেকের সঙ্গে শনিবার (০৯ জুন) সন্ধ্যায় ফিনলে স্কয়ারের নীচ তলায় খাজা মেন্সের আউটলেটে গিয়ে দেখা মিললো, সাধ ও সাধ্যের টানাপোড়েনের ভেতরেও ঈদের পাঞ্জাবি নিয়ে ফ্যাশন সচেতন তরুণরা ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। তাদের কারও হাতে নতুন পাঞ্জাবির প্যাকেট। কেউ দরদামে ব্যস্ত। আবার কেউ পছন্দের পোশাকটি নিজের করে নিতে সচেষ্ট।
কী আছে খাজা মেন্স এর পাঞ্জাবিতে?
খাজায় এবার ঈদের বাহারি পাঞ্জাবি কালেকশনে আছে আদিত্য, লিলেন, আদ্দি, অ্যান্ডি কটন, প্রিমিয়ামসহ সুতি কাপড়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবি। তবে এর মধ্যে ক্রেতাদের বেশি আকর্ষণ করছে জামদানি নামের এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবি। পুরান ঢাকায় তাঁতের তৈরি জামদানি কাপড়ের বিশেষ এ পাঞ্জাবির দাম পড়ছে ৯ হাজার ৯৯০ টাকা।
তবে শুধু জামদানি পাঞ্জাবি নয়, খাজা টেইলার্সে সুতি কাপড়ের তৈরি বিভিন্ন পাঞ্জাবি আড়াই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায়, লিলেন কাপড়ের পাঞ্জাবি সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার ৩০০ টাকায়, আদ্দি কাপড়ের পাঞ্জাবি ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় এবং প্রিমিয়াম কাপড়ের পাঞ্জাবি আড়াই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
খাজা মেন্সের মালিক শাহেদ সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, অভিজাত ও আরামদায়ক পোশাক তৈরিতে আমাদের মূল প্রতিষ্ঠান খাজা টেইলার্স এখন চট্টগ্রামের ব্রান্ড। তৈরি পোশাকের প্রতি গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে ফিনলে স্কয়ারে পাঞ্জাবির আলাদা এ আউটলেট চালু করেছি আমরা।
তিনি বলেন, নিজেদের কারিগর দিয়ে তৈরি খাজার পাঞ্জাবি ঋতুর সঙ্গে মানানসই এবং আরামদায়ক। এ কারণে ক্রেতারা, বিশেষ করে তরুণরা আমাদের আউটলেট এ ভিড় করছেন। তাদের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্নধর্মী এবং হাল ফ্যাশনের পাঞ্জাবি দিতে পেরে আমরাও খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৮
এমআর/টিসি