ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মহাসড়কে এক্সেল লোড স্থগিতে মন্ত্রীকে মেয়রের অনুরোধ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
মহাসড়কে এক্সেল লোড স্থগিতে মন্ত্রীকে মেয়রের অনুরোধ  মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্থগিতে যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে অনুরোধ জানিয়ে পত্র পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বুধবার (১৬ মে) রাতে ৪৮/২০১৮ স্মারকে একটি উপানুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে সেতুমন্ত্রীর কাছে এ অনুরোধ জানান তিনি।

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা।

তিনি জানান, 'ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিল্পে কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পরিবহনে দুই এক্সেল (ছয় চাকা) বিশিষ্ট মোটরযানে ১৩ টনের বেশি ওজন পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। রমজান মাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্থগিত রাখার জন্য সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে অনুরোধ জানিয়ে একটি পত্র পাঠানো হয়েছে।

'

চসিক থেকে পাঠানো পত্রে উল্লেখ করা হয়, 'মাননীয় মন্ত্রী,সম্প্রতি বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দুই এক্সেল (ছয় চাকা) বিশিষ্ট মোটরযানের মাধ্যমে মাত্র ১৩ টন ওজন নির্দিষ্ট করে দেওয়ার ফলে পরিবহন ব্যয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্পের কাঁচামাল,ভোগ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যয় কেজি প্রতি ৩/৪ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অন্য কোনো মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। '

পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, 'দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় সিংহভাগ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের অধিকারী বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল সারা দেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। অন্যদিকে সরকার সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উল্লেখিত ওজন নিয়ন্ত্রণের কারণে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সারা দেশের সাধারণ মানুষ এসব পদক্ষেপের সুফল থেকে বঞ্চিত হবে এবং ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি। '

এমতাবস্থায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশে শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যয় লাঘব করে পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার লক্ষ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই এক্সেল বিশিষ্ট মোটরযানে ১৩ টন ওজন পরিবহনের বাধ্যবাধকতা শিথিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার নিকট বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। '

'সেই সঙ্গে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহনে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্থগিত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। '

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।