ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রবীন্দ্রনাথ ‘বসন্ত’ নাটক নজরুলকে উৎসর্গ করেছিলেন

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
রবীন্দ্রনাথ ‘বসন্ত’ নাটক নজরুলকে উৎসর্গ করেছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে ‘রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী-২০১৮’ শীর্ষক দিনব্যাপী অনুষ্ঠান

চট্টগ্রাম: রবীন্দ্রনাথের ‘বসন্ত’ নাটকটি নজরুলকে উৎসর্গ করার কথা উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, ‘ব্রিটিশ ভারতে কাজী নজরুল যথাযথ সময়ে স্বাধীনতার বাণী সাহিত্যে উচ্চারণ করায় রবীন্দ্রনাথ অভিভূত হয়েছিলেন। নজরুলের রচিত স্বাধীনতার চেতনাসমৃদ্ধ ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সমকক্ষ কবিতা আর নেই।’

মঙ্গলবার (১৫ মে) নগরের জিইসি মোড়স্থ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে ‘রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী-২০১৮’ শীর্ষক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. অনুপম সেন বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন ষাটের কাছাকাছি, তখন সাহিত্যে নজরুলের আবির্ভাব।

তখন প্রথম মহাযুদ্ধের শেষ। নজরুল সাহিত্যে আবির্ভূত হয়েই অসামান্য গান, কবিতা লিখছেন।
সবচেয়ে বড় কথা, তিনি সাহিত্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার বাণী প্রচার করলেন। পৃথিবীতে তার মতো করে স্বাধীনতার কথা সাহিত্যে কেউ বলতে পারেন নি। '

তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম এমন এক সময়ে (১৮৬১), যখন বাংলা কবিতার বন্ধন-মুক্তির সময়। এসময় মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমিত্রাক্ষর ছন্দে, অন্ত্যমিল বাদ দিয়ে রচিত মহাকাব্য ‘মেঘনাদ বধ’ প্রকাশিত হয়। মূলত মাইকেলের অমিত্রাক্ষর ছন্দ সম্বলিত ও অন্ত্যমিলহীন কাব্য, মহাকাব্যের মাধ্যমে বাংলা কবিতার বন্ধন-মুক্তি ঘটে। পূর্বে পয়ার ও ত্রিপদি ছন্দে অন্ত্যমিল রক্ষা করে কাব্য রচিত হতো। মাইকেলের পরে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে আবির্ভূত হয়ে তার অসাধারণ রচনার মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করেন। তার রচিত গোরা, শেষের কবিতা, ঘরে বাইরে, চোখের বালি, নৌকাডুবি অসামান্য উপন্যাস। তার রূপক নাটক ডাকঘর, রাজা, রক্তকরবী সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। তার গান বিটোফেন সুরারোপিত গ্যাটের লেখা গানের চেয়েও অতুলনীয়। তিনি নৃত্যনাট্য ও কাব্যনাট্যও লিখেছেন। তাকে কবিগুরু বলা হলেও বস্তুত এমন কোন ক্ষেত্র নেই, যেখানে তিনি লিখেন নি।

রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের প্রশংসা করে অনুপম সেন বলেন, ‘বিশ্বে তিনজন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছোট গল্পকার হিসেবে বিবেচনাযোগ্য-চেখভ, মোপাসা ও রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ বাংলার মানুষের চিত্রকে অসাধারণভাবে তার ছোট গল্পে উপস্থাপন করেছেন। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সাদাত জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ ভট্টাচার্য ও অর্ণি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক আবদুর রহিম। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক রুমানা চৌধুরী।

সভাশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।