ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গর্ব করে বলতে পারি আমি একজন সাংবাদিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
গর্ব করে বলতে পারি আমি একজন সাংবাদিক দৃষ্টি চট্টগ্রামের তৃতীয় আড্ডার অতিথি কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফের সঙ্গে দৃষ্টির কর্মকর্তারা

চট্টগ্রাম: গণিতে স্নাতকোত্তর করার পর একই সঙ্গে অধ্যাপনা ও সাংবাদিকতার আহ্বান এলো। আমি দ্বিধা না করে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিই। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক আজাদীর সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করি। এখন আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি একজন সাংবাদিক।

সোমবার (১৬ এপ্রিল) থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে দৃষ্টি চট্টগ্রাম আয়োজিত তৃতীয় ‘আড্ডা’য় শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া রাশেদ রউফ এসব কথা বলেন।  

দৃষ্টি চট্টগ্রামের সদস্যদের পরিবেশনায় আবৃত্তি ও গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিচারণ করে চট্টগ্রাম একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা রাশেদ রউফ বলেন, চট্টগ্রামের অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের সন্তান আমি, যে পরিচয় নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। স্কুলজীবন থেকেই আমার লেখালেখির শুরু।

যেটির মাধ্যমে আজ আমার এত পরিচিতি। কেন জানি লেখালেখির মাঝেই আমি খুঁজে পেতাম আমার মানসিক শান্তির আধার।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপক কাজী আরফাতের প্রশ্নের উত্তরে রাশেদ রউফ বলেন, শিল্পে কখনো তাৎক্ষণিকতা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রথমে আমি প্রবন্ধ রচনা করেছি, এরপর ছড়া, কিশোর কবিতার দিকে মনোযোগী হয়েছি, ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। প্রতি সপ্তাহে একটি করে অন্ত্যমিল রচনার মাধ্যমে কবিতা ও ছড়ার সেতুবন্ধন রচনা করার চেষ্টা করছি।

বইপড়া ও বইমেলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, বইপড়ার মাধ্যমে একজন মানুষের মনের অবগুণ্ঠিত দিক উন্মোচন হয়, মনোজগতের নতুন নতুন দিক পরিস্ফুটিত হয়। এর জন্য দরকার বইমেলার ঐতিহ্য ধরে রাখা এবং এটিকে সম্মিলিতভাবে আয়োজন করা।

দৃষ্টির সভাপতি মাসুদ বকুল বলেন, দৃষ্টি আজ ২৬ বছর পেরিয়ে ২৭ বছরে পা দিয়েছে। দৃষ্টির পথচলা যাদের নিয়ে শুরু হয়েছিল তাদের আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে এ আয়োজন। আমাদের সৃষ্টিলগ্ন থেকে পথচলায় আমরা রাশেদ রউফকে পেয়েছি, যার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ অনোয়ারা আলম বলেন, সাংগঠনিকতা, সৃজনশীলতা, সততার দিকে রাশেদ রউফের আপসহীনতা সত্যিই অনুসরণীয়। চট্টগ্রামের সাহিত্য জগতের জন্য রাশেদ রউফ একজন আলোকবর্তিকা।

একপর্যায়ে দৃষ্টির নির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবপ্রযুক্তি ও জীনপ্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান বলেন, শিশুসাহিত্য একটি শিল্প কারণ এতে শিশুর মনোজগত, আবেগ, কোমলতা বুঝতে হয়, যেটি রাশেদ রউফ বাস্তবিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি কাজ করে যাচ্ছেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, নিজের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন সবার মাঝে।

দৃষ্টি চট্টগ্রামের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফ চৌধুরী সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আমাদের ২৭ বছরের পথচলায় বটবৃক্ষের মতো পেয়েছি রাশেদ রউফকে। চট্টগ্রামের জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য।

উপস্থিত ছিলেন দৃষ্টির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম হিরো, সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, সহ-সম্পাদক রিদোয়ান আলম আদনান, মুন্না মজুমদার, সৌরভ নাথ, অনির্বাণ বড়ুয়া ও উপ-সম্পাদক হাসান জাদিদ মাশরুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।