সোমবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দরের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অন জাইকা প্রিপারেটরি সার্ভে অন মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় এতথ্য জানানো হয়।
বন্দরটি সমুদ্রের কিনারায় না করে চ্যানেল (জাহাজ চলাচলের পথ) তৈরির মাধ্যমে বন্দরকে সমুদ্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।
কর্মশালায় জাইকা সার্ভে টিমের পাঁচ সদস্য পাঁচটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের হাতে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি), লালদিয়া ও বে-টার্মিনালের প্রকল্প রয়েছে। এসবের নির্মাণকাজ শেষ হলে আমাদের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। তখন আমরা ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের (টিইইউস ) ৭০ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে পারবো। এ মুহূর্তে আমাদের মাত্র ২০ লাখ কনটেইনারের সামান্য বেশি। কিছুদিন আগে আমরা 'টু মিলিয়ন ক্লাব'-এ নাম লিখিয়েছি। পূর্বাভাস অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে আমাদের মাতারবাড়ি ও পায়রা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথ সংযোগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং ও অ্যাপ্রাইজাল মিশন সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে প্রকল্পের ঋণ নিয়ে আলোচনা এবং জুনের মধ্যে বিশদ নকশার ঋণচুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় একটি মাল্টিপারপাস এবং একটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। টার্মিনালে ৩২০ থেকে ৩৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ১৬ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) ২০ ফুট দীর্ঘ ৮ হাজার কনটেইনারবাহী জাহাজ ভিড়তে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে ১৯০ মিটার দীর্ঘ এবং সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারে। এসব জাহাজে সর্বোচ্চ ২০ ফুট দীর্ঘ ২৫০০ থেকে ২৮০০ কনটেইনার পরিবহন করা যায়।
জোয়ার-ভাটা নির্ভর চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে বর্তমানে খোলা পণ্যবাহী মাদার ভ্যাসেল (বড় জাহাজ) ভিড়তে পারে না। ছোট ছোট জাহাজে (লাইটার) গভীর সমুদ্রে পণ্য খালাস করে আনতে হয় ঘাটে। অন্য দিকে ফিডার জাহাজে করে কনটেইনার আনা-নেওয়া করায় পরিবহন ব্যয়ও বেশি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এআর/টিসি/জেএম