সম্প্রতি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউর) স্কুল অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ৭৬ শিক্ষার্থী প্রফেসর এ কাইয়ূম চৌধুরীর নেতৃত্বে স্টাডি ট্যুরে চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ (সিএসই) কার্যালয় ঘুরে এসেছেন।
তারা কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
প্রফেসর এ কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, শেয়ার মার্কেট বা পুঁজিবাজার নিয়ে ব্যবহারিক কোনো জ্ঞান না থাকায় এ সেক্টরে অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও আমরা পিছিয়ে পড়ছি।
তিনি বলেন, তরুণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারে তাদের মেধা, দক্ষতা ও গবেষণা দিয়ে নানামুখী চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে নিজেদের সাফল্য তুলে ধরছেন।
সিএসই’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, যেকোনো ব্যবসায় পুঁজি ও ঝুঁকি দুটোই রয়েছে। শেয়ারে বাজারও ব্যতিক্রম নয়। দুটো বিষয়কে তাই গুজবে কান না দিয়ে জয় করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানটির ডিজিএম সোনিয়া হোসেন বলেন, শেয়ার বাজার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের তথ্যের গভীরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সেক্টরে তারা এগিয়ে এলে পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের চেহারা বদলে যাবে।
অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার অ্যান্ড হেড অব ট্রেনিং ডেভেলপমেন্ট আরিফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ম্যানেজার মো. শহীদুল্লাহ, সিনিয়র অফিসার মাহফুজ মোরশেদ প্রমুখ।
সেমিনারে শেয়ার বাজারের নানাদিক তথ্যচিত্র আকারে তুলে ধরা হয়। যার ভেতর ছিল প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শেয়ার, লভ্যাংশের হার, সংরক্ষিত আয়, অর্থনীতি, বাজার প্রত্যাশা, প্রচারণা, চাহিদা ও সরবরাহ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শিল্পখাতের চিত্র ইত্যাদি।
সরেজমিন সিএসই কার্যালয় পরিদর্শন করে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ইডিইউ’র স্কুল অব বিজনেসের শিক্ষার্থীরা। সামিহা ইকবাল নামের এক ছাত্রী বলেন, শেয়ার বাজারের বিষয়টি আমাদের পাঠ্যসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এতদিন এ বিষয়ে অনেক পড়াশোনা করলেও বাস্তবে কীভাবে কাজ হয় তা দেখার সুযোগ হয়নি। এবার অনেক অভিজ্ঞতা হলো।
রবিউল হাসান চৌধুরী নামের এক ছাত্র বলেন, আমি মনে করি একটি ভালো কোম্পানিকে তুলে ধরতে হলে শেয়ারে বাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।
তবে এ সেক্টরে ভালো বিনিয়োগকারী হতে হলে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান মেধাবী এই শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এআর/টিসি