‘জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান, স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে চট্টগ্রাম’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু’তে এ সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সিডিএ ও সেনাবাহিনীর উধর্তন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
চট্টগ্রামবাসী এ সমঝোতা সইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সাথে এমওইউ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ একক প্রকল্পের দ্বার খুলবে আজ।
জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।
২০১৬ সালের ৯ আগস্ট একনেকে শর্তসাপেক্ষে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
টেকনিক্যাল কমিটির প্রতিনিধিরা বেশ কয়েকবার সভা করে জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেন।
প্রকল্পপ সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুনে। প্রকল্পে ব্যয়ের মধ্যে ৩৬টি খালের মাটি অপসারণে ২৮ কোটি ৮৫ লাখ ও মাটি খননে ২৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ৬ হাজার ৫১৬ কাঠা ভূমি ১ হাজার ৭২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, নতুন ৮৫ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ৩১৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ১৭৬ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের জন্য ২ হাজার ৬৪০ কোটি, ৪৮টি পিসি গার্ডার ব্রিজ প্রতিস্থাপনে ২৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। বন্যার পানি সংরক্ষণে ৩টি জলাধার, ৬টি আরসিসি কালভার্ট প্রতিস্থাপন, ৫টি টাইডাল রেগুলেটর, ১২টি পাম্প হাউস স্থাপন, ৪২টি সিল্টট্রেপ স্থাপন, ২০০টি ক্রস ড্রেন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
১৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রোড সাইড ড্রেনের সম্প্রসারণ, ২ হাজার বৈদ্যুতিক পুল স্থানান্তর, ৮৮০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন এবং ৯২টি ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের কথা রয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)গভর্নমেন্ট অর্ডার (জিও) প্রদান করেছেনে এবং একনেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিও পাওয়ার পরপরই ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
প্রকল্প অনুসারে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এসবি/টিসি