ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

'সিডিএ-সেনাবাহিনী'র এমওইউ সইয়ের অপেক্ষায় চট্টগ্রাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৮
'সিডিএ-সেনাবাহিনী'র এমওইউ সইয়ের অপেক্ষায় চট্টগ্রাম 'সিডিএ-সেনাবাহিনী'র এমওইউ সইয়ের অপেক্ষায় চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রাম: নগরীর দুঃখ খ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মেগা প্রকল্পের সমঝোতা (এমওইউ) সইয়ের অপেক্ষায় চট্টগ্রামবাসী। আজ সোমবার (০৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাথে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের সাথে এ সমঝোতা সইয়ের মাধ্যমে এ মেগা প্রকল্পের দ্বার খুলবে।

‘জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান, স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে চট্টগ্রাম’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু’তে এ সমঝোতা সই অনুষ্ঠানে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সিডিএ ও সেনাবাহিনীর উধর্তন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
 
চট্টগ্রামবাসী এ সমঝোতা সইয়ের অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সাথে এমওইউ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ একক প্রকল্পের দ্বার খুলবে আজ।

৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরবাসী দীর্ঘদিনের আশার পূর্ণতা পাবে এবং
জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে।  

২০১৬ সালের ৯ আগস্ট একনেকে শর্তসাপেক্ষে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে একনেকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে আহ্বায়ক, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং পানিসম্পদ মন্ত্রীকে সদস্য করে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), সিডিএ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি নিয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়।

টেকনিক্যাল কমিটির প্রতিনিধিরা বেশ কয়েকবার সভা করে জলাবদ্ধতা নিরসনে বেশ কিছু সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেন।

প্রকল্পপ সূত্রে  জানা যায়, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুনে। প্রকল্পে ব্যয়ের মধ্যে ৩৬টি খালের মাটি অপসারণে ২৮ কোটি ৮৫ লাখ ও মাটি খননে ২৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ৬ হাজার ৫১৬ কাঠা ভূমি ১ হাজার ৭২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, নতুন ৮৫ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে ৩১৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ১৭৬ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের জন্য ২ হাজার ৬৪০ কোটি, ৪৮টি পিসি গার্ডার ব্রিজ প্রতিস্থাপনে ২৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। বন্যার পানি সংরক্ষণে ৩টি জলাধার, ৬টি আরসিসি কালভার্ট প্রতিস্থাপন, ৫টি টাইডাল রেগুলেটর, ১২টি পাম্প হাউস স্থাপন, ৪২টি সিল্টট্রেপ স্থাপন, ২০০টি ক্রস ড্রেন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

১৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রোড সাইড ড্রেনের সম্প্রসারণ, ২ হাজার বৈদ্যুতিক পুল স্থানান্তর, ৮৮০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন এবং ৯২টি ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের কথা রয়েছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)গভর্নমেন্ট অর্ডার (জিও) প্রদান করেছেনে এবং একনেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিও পাওয়ার পরপরই ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।

প্রকল্প অনুসারে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।