তিনি বলেন, দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণের পথ সহজ করে না দিলে তারা অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির ৩৭ শতাংশ অবদান আসছে তাদের হাত ধরে।
নগরীর খুলশীর পূর্ব নাসিরাবাদের ইডিইউর স্থায়ী ক্যাম্পাসে অর্থনীতি বিভাগ দিনব্যাপী এ সেমিনারের আয়োজন করে।
পরে তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় সেখানে অর্থনীতি প্রিয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অতিথির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ইডিইউর উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সিকান্দার খান।
সাফল্য অর্জন করতে হলে বেশ কিছু খাতে মনোযোগ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে ড. হামিদুল হক বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগাতে হলে সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত পরিকল্পনার দরকার।
তিনি বলেন, কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি গড়তে হবে। নইলে দেশ পিছিয়ে পড়বে। পানি নিয়ে যে টানাপোড়েন-সংকট চলছে তার দ্রুত সমাধান করা জরুরি।
ইডিইউর উপাচার্য বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার জন্য আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস করা উচিত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ইডিইউর অর্থনীতি বিভাগের লেকচারার অনন্যা নন্দীর সভাপতিত্বে ও তাসমিম চৌধুরী বহ্নির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর সামস উদ দোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সজল বড়ুয়া, অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবীর, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
অর্থনীতি বিভাগের কৃতী ছাত্রী তানজিনা তাবাসসুম বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা যদি ধারাবাহিক উন্নতিটা ধরে রাখতে পারি, তাহলে কেবল দক্ষিণ এশিয়া নয়, গোটা বিশ্বেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সুনাম ছড়িয়ে পড়বে আমাদের।
তাসমিয়া রেহমান বলেন, আপাতদৃষ্টিতে এটি ভালো সংবাদ। নিশ্চয় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশের জন্য নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করবে।
একই রকম অভিমত সানজিদা আলম, শাহেন শাহ, শুভংকর দাশ নামের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
এআর/টিসি