ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নির্বাচনের আগেই সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৮
নির্বাচনের আগেই সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি নির্বাচনের আগেই সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

চট্টগ্রাম: নির্বাচনের আগেই সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও কমিশন গঠনসহ ৫ দফা দাবি দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। শুক্রবার (০৬ এপ্র্র্রিল) সন্ধ্যায় নগরীর মুসলিম ইন্সটিটিউট হলে পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির মহাসমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

পাঁচ দফার মধ্যে রয়েছে-সংখ্যালঘু স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত কাউকে মনোনয়ন না দেয়া, ৭ দফার পক্ষে নির্বাচনী অঙ্গীকার ঘোষণা, সংসদে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, নির্বাচনের আগে-পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনের আগেই সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও কমিশন গঠন করা।

সমাবেশে এছাড়াও পরিষদের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যমতের ৭ দফা দাবিনামাও পেশ করা হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

তিনি বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন।

নির্বাচন অনেকের জন্য উৎসবমুখর হলেও বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য উৎসবের নয়, আতঙ্কের। নির্বাচন কমিশনকে আমরা বলেছি, এ আতঙ্কের কথা। নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে যেন একটিও সহিংসতার ঘটনা না ঘটে। প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত না এলে ইনক্লুসিভ নির্বাচন হবে না। আমার প্রশ্ন, দুই কোটি সংখ্যালঘু মানুষকে বাদ দিয়ে কিভাবে ইনক্লুসিভ নির্বাচন হবে?

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সবাই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। কে করছে না? বরং ধর্ম নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য বিরাট হুমকির। রাখাইনে গণহত্যা হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মৌলবাদের বিষবাস্প ছড়াচ্ছে অনেকে।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাও আছে আবার ধর্মতন্ত্রও আছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আমরা অস্তিত্বের সংকটের দিকে যাচ্ছি। কারণ এই দেশে কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আস্থা রাখতে পারছে না। পরিষদের ৫ দফা দাবি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির এরশাদ সাহেব এবং বাম মোর্চা ও বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলামের সাথেও আলোচনা হয়েছে। আমাদের পরিষদের ৫ দফা ও ৭ দফা দলগুলোকে নির্বাচনী ইশতেহারে রাখার কথাও জানান তিনি।

সমাবেশে উদ্বোধক ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা উষাতন তালুকদার এমপি।

পরিষদের বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির আহবায়ক পরিমল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, নির্মল চাটার্জি, মাওলানা জিয়াউল হাসান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. জিনবোধি ভিক্ষু, নির্মল রোজারিও, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮

এসবি/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।