তবে কি গ্রামের মা-খালা-চাচীদের হাতে বানানো চমৎকার সব জিনিসগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে? ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউর) জমজমাট বিজনেস ফেয়ারে দেখা মিলল হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ সামগ্রীর এমনি নানা পসরা।
বুধবার সকালে নগরীর খুলশী পূর্ব নাসিরাবাদের ইডিইউর স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্কুল অব বিজনেস এই মেলার আয়োজন করে।
পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান।
তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিষ্ঠা পেতে হলে চাই কঠোর পরিশ্রম। পাশাপাশি থাকতে হবে অধ্যবসায়, কৌতূহলী মন, আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য আর বিজয়ী হওয়ার মনোভাব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ‘আমরা’ নেটওয়ার্ক লিমিটেডের সিইও শারফুল আলম, ইডিইউর ট্রেজারার প্রফসর সামস উদ দোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সজল বড়ুয়া, অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবীর, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রক্টর অনন্যা নন্দী, সহকারী অধ্যাপক তাবাস্সুম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় হস্তশিল্প ছাড়াও ছিল বাক-শ্রবণ ও দৃষ্টিহীন বিশেষ শিশুদের তৈরি বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। দেখা মিলেছে কাঠের কাজ, বেতের তৈরি পাটি, কলমদানি, পুতির মালা, ছবির রাখার ফ্রেম, হাতেবোনা বস্ত্র, দেশীয় পোশাক, মাটির জিনিস, বুটিক, হাতপাখা, কাচের চুড়ি, ফিতে, ডায়েরি, নোটবুক, চাকতি খেলা, সিনেমা প্রদর্শনী আরও কতো কী!
বিজনেস ফেয়ারে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে আগামী দিনগুলিতে তাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ওয়াফি বিনতে ইমদাদ নামের একজন ছাত্রী বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে যে স্টল দিয়েছি সেখানে আমাদের আশপাশের শারীরিক নানা সমস্যার সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হওয়া শিশুদের তৈরি নানা সামগ্রী রয়েছে। এসব জিনিসপত্র বিক্রির টাকা তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য ব্যয় হবে।
শিক্ষার্থী স্বপ্নজিৎ সাহা পড়ালেখা শেষ করে নিজেই নাকি একটি প্রতিষ্ঠান দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই শিক্ষার্থী বলেন, ইচ্ছে আছে ভালো কিছু করার। অভিজ্ঞতাই দিতে পারে নতুন পথের সন্ধান।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এমইউ/টিসি