চন্দনাইশের মোহাম্মদপুর থেকে পায়ে হেঁটে তিনি এসেছিলেন পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় তার আসার কারণ একটিই বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেখা।
ফেরার পথে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় এ বৃদ্ধের। বললেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
পরান হরি নাথের বয়স ৭৫। লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়ন থেকে এসেছেন তিনি। তাঁকেও হাঁটতে হয়েছে অন্তত ৩ কিলোমিটার।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বললেন, গম গরি ন দেখি বাজি। কিন্তু পরানে ন মানের। শেখর মাইয়া আইয়ের, আঁই ন আইলে দম বন্ধ অই মরি যাইতাম। (ভালো করে চোখে দেখি না বাবা। কিন্তু প্রাণ মানছে না। শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আসছে, আমি না আসলে দম বন্ধ হয়ে মারা যেতাম)
শুধু আবদুল আজিজ ও পরান হরি নাথ নন। পটিয়ার জনসমুদ্রে এবার শামিল হয়েছিলেন শত-সহস্র বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। বয়স ভুলে তারা পায়ে হেঁটে পৌঁছেছেন জনসভায়। জনস্রোতের ভিড় ঠেলে এগোতে কষ্ট হয়েছে। ঘেমে নেয়ে একাকার হয়েছে শরীর ও মন। কিন্তু মুখে তৃপ্তির হাসি। চোখের তারায় আলোর নাচন। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নিজের চোখে দেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এআর/টিসি