যাতে রয়েছে একটি নৌকার ওপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নগর পিতা আ জ ম নাছির উদ্দীনের তিনটি টাইলস ম্যুরাল। শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য্য ৩০ বর্গফুটের প্রতিটি ম্যুরাল তৈরি করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় ড্রাইডক এলাকায় 'ওয়েলকাম টু চিটাগং' স্থাপনাটি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহুমদ, কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, সাবেক যুবলীগ নেতা আবদুল মান্নান ফেরদৌস, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, উপ প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, জেসিআই চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, মাহফুজুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, আবু সাদাত তৈয়ব, অসীম বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাশেম, উপ সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল হাসান, পুল সহকারী আমির হোসেন রাশেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, কর্ণফুলীর পাড়ঘেঁষে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কের চেহারাই বদলে গেছে। আলোচিত সেই তিন সেতুকে ঘিরে ব্যাপক সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। সেতুর ওপর এলইডি লাইটিং মুগ্ধ করছে দেশ-বিদেশের অতিথিদের। সড়ক বিভাজকে থোকা সবুজ, রকমারি ফুল। ফুটপাতের পাশেও বাহারি ফুলের মেলা।
প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, রুবি সিমেন্টের পাশের সেতুটিতে এলইডি লাইটিংয়ের কাজ হয়েছে। বিমানবন্দর সংলগ্ন ১৫ নম্বর ও ৭ নম্বর সেতুর এলইডি লাইটিং সামগ্রী এসে পৌঁছেছে। আশা করি ২০-২৫ দিনের মধ্যে কাজগুলো সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সবুজায়নের কাজ চলমান থাকবে।
কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান মেয়রের সৎ সাহস আছে। উদ্যম আছে। বিলবোর্ড কেটে সাফ করেছেন। এত দিন চিন্তাভাবনায় পার্থক্য ছিল। অতীতে অবহেলিত থাকলেও এখন পতেঙ্গায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে। বিশেষ করে বিমানবন্দর সড়কের। বাগান হয়েছে সড়কের পাশে। সেতুতে এলইডি লাইটিং হয়েছে। ভিআইপি ওয়ার্ড হিসেবে আমরা গর্ব করতেই পারি।
জামালখানের সেন্ট মেরি’স স্কুলের দেয়ালে শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্যের তৈরি করা ২০ বরেণ্য বাঙালির টাইলস ম্যুরাল বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এরপর তিনি হাত দিয়েছেন কাজীর দেউড়ি থেকে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সড়কের মুখ পর্যন্ত নূর আহমদ সড়কে ৩৬ চট্টল মনীষীর টাইলসের ওপর লাইন ড্রয়িং ম্যুরাল তৈরিতে। কিন্তু মাঝখানে জরুরিভিত্তিতে করতে হচ্ছে ‘ওয়েলকাম টু চিটাগং’ ম্যুরালটি।
এ প্রসঙ্গে শিল্পী শ্রীকান্ত বাংলানিউজকে বলেন, মাত্র নয় দিনে ‘ওয়েলকাম টু চিটাগং’ ম্যুরালটির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করেছি। টাইলস ভাঙতে স্টুডিওতে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেছি। সহযোগিতা করেছেন টিটু রক্ষিত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবিটি দেখে মনে হবে শান্ত সৌম্য ধ্যানমগ্ন কবি। সাতই মার্চের ভাষণটি তো কবিতাই। প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভরসা, আস্থার প্রতীক। তাই হাত নাড়ার ছবিটি বেছে নিয়েছি। ফাদার অব দ্যা সিটির ছবিটি সরল হাসির। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এআর/টিসি