রোববার (১১ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
২ নম্বর ধলই ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য সুলতানা রিজিয়া জানান, উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশাপাশি। তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রী ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া ভাইকে ভুট্টা দিতে যায়। এ সময় তৃতীয় শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে সঙ্গে দেন শ্রেণিশিক্ষক। ভাইয়ের কাছে নিয়ে যাবে বলে আপন চন্দ্র মালী (৫০) নামের এক দপ্তরি ওই ছাত্রীকে দোতলায় নিয়ে যান। পরে শিক্ষিকাসহ খুঁজতে যান। দপ্তরিকে ফোন দিয়ে ছাত্রীর কথা জানতে চাইলে বলেন, বাড়িতে চলে গেছে। কিন্তু বাড়িতে যায়নি। খবর পেয়ে বাবা ছুটে আসে। সবাই খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে গোঙানির শব্দ শোনা যায়। সবাই রশি আনতে ছুটে যান। কিন্তু মেয়েটির বাবা রশি ছাড়াই মেয়েকে বাঁচাতে ট্যাংকে নেমে পড়েন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যান।
কাঠিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমি শিক্ষা মেলার দায়িত্বে ছিলাম। তাই আজ স্কুলে যাইনি। অন্য শিক্ষকরা আমাকে টেলিফোনে খবর দিলে আমি দ্রুত চমেক হাসপাতালে ছুটে আসি। মেয়েটির মাথায় আঘাত লেগেছে। তাকে চতুর্থ তলার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে কাটিরহাট থেকে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় আনা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ মেয়েটিকে স্কুলের দপ্তরি নির্যাতনের পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছিল।
কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মকসুদ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দোষী দপ্তরি আপন চন্দ্র মালীকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত দপ্তরিকে আমরা গ্রেফতার করেছি। ধর্ষণ-চেষ্টার একপর্যায়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে গেলে তিনি মেয়েটিকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এআর/টিসি