ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এসআই পদে চাকরি দেবে ভুয়া ‘এসি ডিবি’!  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এসআই পদে চাকরি দেবে ভুয়া ‘এসি ডিবি’!   এসআই পদে চাকরি দেবে ভুয়া ‘এসি ডিবি’!  

চট্টগ্রাম: ভুয়া এসি ডিবি সেজে এসআই পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন মো. ফিরোজ আলম চৌধুরী (৬০)। তবে শেষ রক্ষা হলো না, আসল ডিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এ প্রতারক।

শনিবার (১০ মার্চ) রাতে মহানগর  গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তাকে গ্রেফতার করে।

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক আফতাব হোসেন, এসআই শিবেন বিশ্বাস, এএসআই সাদেক মো. নাজমুল হক কোতোয়ালি থানার নিয়মিত মামলার সূত্র ধরে মিরসরাই থানার সাহেরখালী গজারিয়া এলাকা থেকে প্রতারককে গ্রেফতার করেন।

ফিরোজ আলম চৌধুরী ওরফে আলম সাহেব মিরসরাইয়ের সাহেরখালী গজারিয়া বড় বাড়ির গোলাম সামদানির ছেলে।

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ আলম নিজেকে ডিবি পুলিশের এসি এবং তার সহযোগীকে আইজিপি মহোদয়ের পিএস পরিচয় দিয়ে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ দেবে জানিয়ে হাজি মো. সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে  তার বন্ধুর ছেলে মো. মোরশেদ এবং তৌহিদুলকে এসআই পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় যান।

এরপর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ঘোরাফেরা করে তাদের আশ্বস্ত করেন, আইজিপির সঙ্গে কথা হয়েছে, চাকরি হবে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ইমপেরিয়াল হোটেলে অবস্থানকালীন চাকরি হয়েছে জানিয়ে প্রতারকরা দেড় লাখ টাকা নেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি এসআই নিয়োগের শারীরিক মাপ চলাকালীন দুই প্রার্থীকে দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে কৌশলে একপাশে দাঁড় করিয়ে রেখে আরও দুই লাখ টাকা নেন। আইজিপির পিএস পরিচয় দানকারী আবুল কাশেম চৌধুরীর ঠিকানায় সাড়ে ১১ হাজার টাকার শুঁটকি মাছ কুরিয়ারের মাধ্যমে নেন।

০১ মার্চ থেকে প্রতারককে ফোন দিয়ে না পেয়ে হাজি মো. সিরাজুল ইসলাম সিএমপির ডিসি-ডিবিকে (বন্দর)বিষয়টি অবহিত করলে তার পরামর্শে প্রতারকদের বিরুদ্ধে সিএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার সূত্র ধরে প্রতারক ফিরোজ আলম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি ডিবি পুলিশকে প্রতারণা করে পালানোর কৌশল অবলম্বন করে নিজে নিজের জিহ্বায় কামড় দিয়ে রক্তবমির ভান করেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ আলম অপকর্মের কথা স্বীকার করে পালানোর কৌশল হিসেবে জিহ্বায় কামড় দেন বলে জানান। প্রতারণার কৌশল হিসাবে আসামি ঘটনার সময় পুলিশের পি-ক্যাপ ব্যবহার করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮

এআর/টিসি   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।