শনিবার (১০ মার্চ) রাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তাকে গ্রেফতার করে।
মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক আফতাব হোসেন, এসআই শিবেন বিশ্বাস, এএসআই সাদেক মো. নাজমুল হক কোতোয়ালি থানার নিয়মিত মামলার সূত্র ধরে মিরসরাই থানার সাহেরখালী গজারিয়া এলাকা থেকে প্রতারককে গ্রেফতার করেন।
মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ আলম নিজেকে ডিবি পুলিশের এসি এবং তার সহযোগীকে আইজিপি মহোদয়ের পিএস পরিচয় দিয়ে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ দেবে জানিয়ে হাজি মো. সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে তার বন্ধুর ছেলে মো. মোরশেদ এবং তৌহিদুলকে এসআই পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় যান।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ইমপেরিয়াল হোটেলে অবস্থানকালীন চাকরি হয়েছে জানিয়ে প্রতারকরা দেড় লাখ টাকা নেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি এসআই নিয়োগের শারীরিক মাপ চলাকালীন দুই প্রার্থীকে দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে কৌশলে একপাশে দাঁড় করিয়ে রেখে আরও দুই লাখ টাকা নেন। আইজিপির পিএস পরিচয় দানকারী আবুল কাশেম চৌধুরীর ঠিকানায় সাড়ে ১১ হাজার টাকার শুঁটকি মাছ কুরিয়ারের মাধ্যমে নেন।
০১ মার্চ থেকে প্রতারককে ফোন দিয়ে না পেয়ে হাজি মো. সিরাজুল ইসলাম সিএমপির ডিসি-ডিবিকে (বন্দর)বিষয়টি অবহিত করলে তার পরামর্শে প্রতারকদের বিরুদ্ধে সিএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্র ধরে প্রতারক ফিরোজ আলম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি ডিবি পুলিশকে প্রতারণা করে পালানোর কৌশল অবলম্বন করে নিজে নিজের জিহ্বায় কামড় দিয়ে রক্তবমির ভান করেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ আলম অপকর্মের কথা স্বীকার করে পালানোর কৌশল হিসেবে জিহ্বায় কামড় দেন বলে জানান। প্রতারণার কৌশল হিসাবে আসামি ঘটনার সময় পুলিশের পি-ক্যাপ ব্যবহার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এআর/টিসি