ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৯৫ মিলিয়ন নারী দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগাক্রান্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৮
 ১৯৫ মিলিয়ন নারী দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগাক্রান্ত মা ও শিশু হাসপাতালে কিডনি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান অতিথি ছিলেন লায়ন্স জেলা ভাইস গভর্নর কামরুন মালেক।

চট্টগ্রাম: বর্তমান বিশ্বে ১৯৫ মিলিয়ন নারী দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতিবছর ৬ লাখ নারী দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে মারা যান। ৬৬ দশমিক ৬ ভাগ কিডনি রোগের প্রধান কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ। প্রতি ৩ জন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে ১ জন কিডনি রোগে আক্রান্ত, ৫ জন উচ্চরক্তচাপ রোগীর মধ্যে ১ জন।  

‘সুস্থ কিডনি সবল নারী’। এবারের কিডনি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য।

সেই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ছিল র‌্যালি, সেমিনার ও আলোচনা সভা। উপরের বার্তাগুলোই এবার প্রচারিত হয়েছে বেশি।

চমেক নেফ্রোলজি বিভাগ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন ও চিটাগাং রেনাল রিসার্চ গ্রুপের উদ্যোগে চমেক ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। এতে চমেক হাসপাতালের পরিচালক বি. জেনারেল জালাল উদ্দিন, চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত, সহকারী অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা, শিশু কিডনি বিভাগের প্রধান ডা. বাসনা মুহুরী প্রমুখ অংশ নেন।

নেফ্রোলজি বিভাগের ডা. শওকত আজাদ বাংলানিউজকে জানান, কিডনি প্রস্রাব তৈরি করে, অতিরিক্ত পানি ও দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়, দেহের রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হাড় মজবুত রাখতে ও রক্ত উৎপাদনে সহায়তা করে।

ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে কর্মক্ষম ও সক্রিয় থাকতে হবে, রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে, রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করতে হবে, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন পরিহার করতে হবে। যদি ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ওজন বেশি থাকে, মা-বাবা বা পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে কিডনির সক্ষমতা নিরূপণ করতে হবে।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নেফ্রলজি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে হাসপাতালের লেকচার গ্যালারিতে কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এএসএম ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে সেমিনারের অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লায়ন্স জেলা ভাইস গভর্নর কামরুন মালেক। হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. আবুল কাসেম ও শিশু কিডনি রোগ বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. কামাল হোসেন জুয়েল কিডনি রোগ ও এর প্রতিকারের বিষয়ে ২টি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে কিডনি দিবসের শোভাযাত্রা

কামরুন মালেক বলেন, কিডনি রোগ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও প্রায় ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। রোগীরা যাতে কম খরচে কিডনি রোগের সেবা পেতে পারে সে জন্য সরকারি, বেসরকারি সব মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি ডাক্তারদের রোগীদের প্রতি সদয় ও মানবিক আচরণ করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি ডা. আঞ্জুমান আরা ইসলাম। অনুষ্ঠানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন কিডনি রোগী তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এসএম মোরশেদ হোসেন, ডা. এম মাহফুজুর রহমান, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি ডা. মো. আরিফুল আমীন, ট্রেজারার মো. রেজাউল করিম আজাদ, কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হারুন ইউছুপ, খায়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, চমাশিহা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর এএসএম মোস্তাক আহমেদ, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক প্রমুখ।  

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডা. ফাহিম হাসান রেজা ও ডা. আয়েশা মোহাম্মদ ওসমান।

এর আগে হাসপাতাল ক্যাম্পাস থেকে বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি বের করা হয় এবং সকাল থেকে হাসপাতালের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনামূল্যে কিডনি স্ক্রিনিং (পরীক্ষা) করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮ ২০১৮ 

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।