বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) বিকেলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আহ্বান জানান সুজন।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন।
সুজন প্রধান প্রকৌশলীকে জানান, যেসব এলাকায় পুরোনো মিটারে অর্থাৎ যেখানে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়নি সেসব এলাকায় এখনো গড়বিল দেওয়া হচ্ছে।
তিনি অচিরেই গড়বিলের ভূত থেকে সাধারণ মানুষকে নিস্তার দেওয়ার এবং দ্রুত প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ শেষ করার আহ্বান জানান।
সুজন অভিযোগ করেন, প্রি-পেইড মিটারের কার্ডের দুস্প্রাপ্যতা নগরবাসীকে আরও ভোগান্তিতে ফেলেছে। একটি কার্ড সংগ্রহ করতে গেলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এবং প্রি-পেইড মিটারের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বিদ্যুৎ বিভাগের টেকনিশিয়ান ছাড়া সমাধান করা যায় না ফলে অনেক সময় দুই-এক দিন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হয়।
সেজন্য তিনি প্রি-পেইড মিটারের কার্ডের দুস্প্রাপ্যতা কমিয়ে এনে মিটারের যান্ত্রিক ত্রুটি লাঘবে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ জানান।
প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন আন্তরিকতার সঙ্গে নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনেন এবং উত্থাপিত বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, আমি যখন দায়িত্ব গ্রহন করি তখন চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বর্তমানে সেই চাহিদা ১২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বেড়েছে। তারপরও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে। চট্টগ্রামে আমাদের সঞ্চালন লাইনের কাজ চলছে। আশা করি পুরোপুরিভাবে এলএনজি চালু হওয়ার পর বিদ্যুতের লোডশেডিং কিংবা লো-ভোল্টেজ আর থাকবেই না। গ্রীষ্মের শুরুতে লোড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু ত্রুটির ব্যাপারে আমি নিজেও অবগত এবং এ ত্রুটিগুলো সহসাই জিরো লেভেলে নিয়ে আসার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি। এ ছাড়া গড়বিলের কারণে গ্রাহকদের অভিযোগ আমরা সহানুভুতির সঙ্গে বিবেচনা করছি। যদি গ্রাহকরা অভিযোগ করেন তবে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করে যাচ্ছি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রি-পেইড মিটার পুরোপুরি স্থাপন হয়ে গেলে গ্রাহকদের গড়বিলের ঝামেলা আর পোহাতে হবে না। প্রি-পেইড মিটারের কার্ড স্বল্পতা দূরীকরণ এবং সহজলভ্যতা করার জন্য বেশ কয়েকটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে যেখান থেকে গ্রাহকগণ সহজেই প্রি-পেইড মিটারের কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
তিনি গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে তাৎক্ষণিকভাবে ১ নম্বর সাইট এলাকায় একটি ট্রান্সফরমার স্থাপনের নির্দেশ দেন। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা যাতে নিশ্চিন্তে পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করে সেজন্য বিশেষ নজর রাখারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান প্রকৌশলী মো. ইমাম হোসেন, মো. ইলিয়াছ, নাগরিক উদ্যোগের সদস্যসচিব হোসেন কোম্পানি, শামসুল হক, এছাক চৌধুরী, সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব হাবিব শরীফ, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, মোরশেদ আলম, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, শের খান, হাফেজ মো. ওকার উদ্দিন, মো. শাহজাহান, মো. মোরশেদ, সমীর মহাজন লিটন, স্বরূপ দত্ত রাজু, হাসান মুরাদ, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, মো. মাহফুজ, মো. শাহজাহান, হাসান মুরাদ, সালাউদ্দিন মামুন, সোহাগ চাকমা, মো. সাদ্দাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
এআর/টিসি