বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাসার ছাদে যখন প্লেন উড়ে যেত অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতাম। আমাদের দেশে পাইলট হওয়া খুবই দুরূহ ব্যাপার।
তাসনুভা বলেন, কিন্তু আমার বেলায় এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। মা-বাবা ও পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি। আমার বড় ভাইও পাইলট, বাংলাদেশ বিমানে আছেন। যার জন্য আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ছোটকাল থেকে চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসতাম। ছেলেরা পারলে মেয়েরা কেন পারবে না এ রকম একটা জেদ কাজ করত নিজের মধ্যে।
‘আমি এমন একটা কাজ বেছে নিয়েছি যেখানে প্রতিদিনই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। বিমানের টেক অফ এবং ল্যান্ডিং একেক দিন একেক রকমের অভিজ্ঞতা জন্ম দেয়। ’ যোগ করেন তিনি।
আকাশে ওড়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, দিনের ও রাতের আকাশের সৌন্দর্যে ভিন্নতা উপলব্ধি করি। ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টির ঝাপটা, আকাশের তারা, চাঁদ সবই উপভোগ করি। একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার পর নয় ঘণ্টার বিরতি। ফের আকাশে ওড়া। সেটাই আমার নেশা ও পেশা। বিমানকে আমি মা-বাবার মতো ভালোবাসি।
বর্তমানে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কর্মক্ষেত্রে আসছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি চাই আমাদের নারীরা আরও বেশি চ্যালেঞ্জ ও সাহস নিয়ে বিশ্ব জয় করুক।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
টিসি