ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বাংলানিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত নিজেকে নিয়ে অনেক সমালোচনা করি।
আধুনিক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে ভালোবাসার বিবল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য, সমাজের জন্য ও পরিবারের জন্য মানবিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে ভালোবাসতে হবে। এই ভালোবাসা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই ভালোবাসা নামক শব্দটা পূর্ণটা পাবে। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করেন ভালোবাসা দিবসের জন্য কোনো বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয়না। মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা থাকবে প্রতিদিনে, প্রতিসময়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো.আলী আজগর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার কাছে প্রতিটি দিনেই ভালোবাসা দিবস। আমি প্রতিদিনিই পরিবার-পরিজন ও শিক্ষার্থীদেরকে ভালোবাসার বন্ধনে আকড়ে ধরার চেষ্টা করছি। আমাদের ভালোবাসা যেনো কোনো লোক দেখানো না হয়। ’
একই বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বায়জিদ ইমন ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একই বর্ষেরি শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানের।
তবে যুগলদের মধ্যে কেউ কেউ ভালোবাসার জন্য বিশেষ দিবসের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন। কারণ তারা মনে করেন, ওই বিশেষ দিনে কিছু বিশেষ মুহূর্ত ধরা দেয়। ভুল-ত্রুটি শুধরিয়ে নতুন করে পখ চলার প্রেরণা জোগায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ব বিভাগের শিক্ষাথী এনাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভালোবাসা প্রতিদিনের, সেটা ঠিক আছে। তবে বিশেষ দিনেরও প্রয়োজন আছে। কারণ ওই দিনে আগের করা ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরিয়ে সামনে নতুন করে পথ চলার শপথ নেওয়া যায়। ’
বাংলাদেশ সময়:১৯৪৩ ঘণ্টা. ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
জেইউ/টিসি