মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার জনতা ব্যাংক করপোরেট শাখার সামনে ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের শেখ আলমগীর জাদুঘর এরিয়া রোড, কমার্স কলেজ রোডের উন্নয়নকাজের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চলতি বছরের মধ্যে সব রাস্তাঘাট আলোকায়ন ও নগরীকে পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করা হবে।
তিনি বলেন, দুইটি সড়কের উন্নয়নকাজে চসিকের ২ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার ৬০০ টাকা ব্যয় হবে। চলতি বছরের ১১ জুনের মধ্যে এসব উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদের, শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফেরদৌসি আকবর, রাজনীতিক বখতেয়ার উদ্দিন খান, জনতা ব্যাংক আগ্রাবাদ করপোরেট শাখার জিএম মো. তাজুল ইসলাম, ডিজিএম সিরাজুল করিম মজুমদার, সমাজসেবক সেলিম রেজা খান, ওবায়দুল করিম, মোস্তাক আহমেদ টিপু, চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রধান তিনটি কাজ হলো নগরীতে আলোকায়ন নিশ্চিত, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা। কিন্তু এর বাইরেও চসিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ভর্তুকি দিয়ে সেবা প্রদান করছে। শিক্ষা খাতে প্রতিবছর ৪৩ কোটি ও স্বাস্থ্য খাতে ১৩ কোটি টাকা ভর্তুকি ও চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে প্রতি মাসে ২০ কোটি টাকা দিতে হয়।
মেয়র শিগগির আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা ও নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডকে সৌন্দর্যবর্ধনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।
মেয়র জলাবদ্ধতাকে একটি কঠিন সমস্যা বলে উল্লেখ করে এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, জলাশয় ভরাট, নালা-খাল দখল, পাহাড় কেটে ফেলাকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন, নগরীতে ৪১ শতাংশ এলাকা ছিল পাহাড়ি। একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি পাহাড় কেটে ফেলার কারণে বৃষ্টির সময় পাহাড়ি বালু-মাটিতে নালা খাল ভরাট হয়ে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে।
নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি চসিকের উদ্যোগে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট পাহাড়ে পরীক্ষামূলকভাবে ‘জাদুর ঘাস’ খ্যাত বিন্না ঘাস লাগানো হবে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।
মেয়র ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পাঠানটুলীর দুইটি সড়কের উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এআর/টিসি