ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সবচেয়ে বড় কনভেনশন সেন্টারটি রেডি

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮
সবচেয়ে বড় কনভেনশন সেন্টারটি রেডি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার

চট্টগ্রাম: বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় কনভেনশন সেন্টারটি এখন তৈরি। চালু হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে। ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর গড়ে তোলা ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার’টিতে একসঙ্গে মেজবান খেতে পারবেন ১০ হাজার মানুষ।

নগরীর কাজীর দেউড়ি ভিআইপি টাওয়ার সংলগ্ন সেনাকল্যাণ সংস্থার জায়গা ভাড়া নিয়ে মাত্র ১০ মাসে স্টিল স্ট্রাকচারের এ সেন্টারটি তৈরি করেছে ইনানী গ্রুপ। ১০ বছরের নবায়নযোগ্য চুক্তিতে নিজস্ব অর্থায়নে বিনিয়োগ করেছে গ্রুপটি।

 

গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিক বাংলানিউজকে জানান, বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিশ্বমানের একটি কনভেনশন সেন্টারের অভাব ছিল। আমরা সেই অভাব পূরণ করার চেষ্টা করেছি।

আমাদের বড় সেন্টারে সাত হাজার মানুষের বিয়ের আয়োজন করা যাবে। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান হলে, নিঃসন্দেহে ১০ হাজার মানুষের আয়োজন হবে। সঙ্গে একটি ছোট সেন্টার রয়েছে যেখানে ২০০ থেকে ৭০০ মানুষের আয়োজন হবে। পাশে তিন তলা আরেকটি ওয়ান স্টপ শপিং মল থাকছে। স্থপতি ইমরানের তত্ত্বাবধানে পুরো কমপ্লেক্সের ড্রয়িং-ডিজাইন করা হয়েছে সিঙ্গাপুরে।  

একসঙ্গে ১০ হাজার মানুষের মেজবান আয়োজন করা যাবে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে কয়েক মাসের মধ্যে হলটির উদ্বোধন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বড় হলে ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলক তিন-চারটি অনুষ্ঠান হয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনটা জাঁকজমকপূর্ণ করতে চাই।

অনুষ্ঠান আয়োজনে ভাড়া নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছোট হলটির ক্ষেত্রে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ কমপ্লিট ভাড়া দেড় লাখ টাকা। বড় হলটির ক্ষেত্রে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ছাড়াই ভাড়া পড়বে আড়াই লাখ টাকা। এটি আয়োজন ও প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে। এক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।  

পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, এ কনভেনশন সেন্টারের বিশেষত্ব হচ্ছে সব ফিটিংস, আসবাব পাঁচ-সাত তারকা হোটেলের সমমানের। মূল হলে স্থাপন করা হয়েছে এসকেলেটর। নিরাপত্তার জন্য আর্চওয়ে, শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী থাকছে। অতিথি ও আয়োজকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হচ্ছে ৪০ হাজার বর্গফুটের পার্কিং আর ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা।  

তিনি বলেন, এখন ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ চলছে পুরোদমে। এক্ষেত্রে হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত প্রাচ্যের রানি খ্যাত চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পর্যটক আকর্ষণের বিষয়টিও থাকছে পুরো পরিকল্পনায়।      

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad