এতে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক, লেখক, কবি, সাহিত্যিকসহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাত্রা শুরু উপলক্ষে ইডিইউ কর্তৃপক্ষ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকলেও রাজনীতির কোনো ছায়া কিংবা আমার নিজের মতাদর্শের প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনই পড়তে দেইনি।
‘আমি চট্টগ্রামে প্রচুর স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।
ইডিইউর উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, ভালো মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। যেখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করবে।
তিনি বলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে তুলে আমরা কেবল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রত্যাশাই বাড়িয়ে দেইনি, যুগোপযোগী সিলেবাসের মাধ্যমে কর্মমুখী শিক্ষায় তাদের এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, আমার মা একজন শিক্ষক হয়ে সারাজীবন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করে গেছেন। বাবা সমাজসেবা করতে গিয়ে শিক্ষার প্রতি দুর্বল ছিলেন। পারিবারিক উৎসাহ থেকে আন্তর্জাতিকমানের এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার তাগিদ অল্পবয়স থেকেই অনুভব করেছি।
তিনি বলেন, বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি লাভ করে দেশে ফিরে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু যখন দেখলাম শিক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক, তখনই ইডিইউর মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে মানুষের জন্য কিছু করার দায়িত্ববোধ থেকে কাজ শুরু করি।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সারোয়ার বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর মেয়েকে ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো একজন অভিভাবক হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিলো। এখানে ভর্তি হয়ে সে নিজে যেমন আনন্দিত, তেমনি আমরা নিশ্চিন্ত।
প্রথম আলোর যুগ্ন সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, আমার মেয়ে ইডিইউতে ভর্তি হওয়ার পর তার ভেতর দারুণরকমের পরিবর্তন এসেছে। জ্ঞান চর্চা যে আনন্দের বিষয় আমি তাকে দেখেই সেটা উপলব্ধি করতে পারি।
দৈনিক পূর্বকোণের পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার পরিবারের ৫ জন সদস্য এখান থেকে উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি লাভ করেছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসটি দেখে মনে হয়েছে এটি আন্তর্জাতিক মানের নকশা অনুযায়ী করা।
সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুদ বলেন, গ্রিন আর্কিটেকচারে ক্যাম্পাসটির শৈল্পিক সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।
ইডিইউর নান্দনিক স্থাপত্য আর দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী ক্যাম্পাস চট্টগ্রামের উচ্চশিক্ষায় নতুন জোয়ার সৃষ্টি করেছে বলে অনুষ্ঠানে অভিমত ব্যক্ত করেন সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এমইউ/টিসি