অভিযানে সোয়াট টিমের চট্টগ্রামের কমান্ডার সিএমপির গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মির্জা সায়েম মাহমুদ দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। জঙ্গি দমনে এই সাহসিকতার স্বীকৃতি এবার পাচ্ছেন মির্জা সায়েম মাহমুদ।
একইসঙ্গে চট্টগ্রামের সোয়াট টিমের সদস্য এটিএসআই জিহাদ হোসেনও পিপিএম এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।
৮ জানুয়ারি পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত প্যারেডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিপিএম ব্যাজ পরিয়ে দেবেন।
সদ্যসমাপ্ত এই বছরে মির্জা সায়েম মাহমুদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের সোয়াট টিমের সদস্যরা আরো কয়েকটি জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।
৭ মার্চ কুমিল্লার চান্দিনায় একটি চেকপোস্টে বাস তল্লাশির সময় পুলিশের ওপর হামলার পর সন্দেহভাজন দুই জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ। আটক দুজন হল- জসিম (৩০) ও হাসান (৩২)। এদের মধ্যে একজন পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত হয়েছিল। আরেকজনকে বোমা নিয়ে ধানক্ষেত দিয়ে পালানোর সময় আটক করে পুলিশ।
তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৮ মার্চ চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোবানিয়া এলাকায় রিদওয়ান মঞ্জিলে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা। এই অভিযানেও ছিলেন সোয়াট টিমের সদস্যরা। ওই আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়।
এরপর ২৯ মার্চ কুমিল্লা শহরের কোটবাড়ী এলাকায় আরো একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট যার সঙ্গেও ছিল সোয়াট টিমের সদস্যরা।
জীবন বাজি রেখে প্রতিটি অভিযানে সোয়াট টিমের সদস্যরা অংশ নেন যার স্বীকৃতি মিলেছে পিপিএম পদকপ্রাপ্তির মাধ্যমে, এমনটাই মনে করছেন মির্জা সায়েম মাহমুদ।
‘জঙ্গিবাদ, উগ্রপন্থা দমনে সোয়াট টিমের সদস্যরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। চট্টগ্রামে জঙ্গিদের যে কোন কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় আমরা সবসময় সতর্ক আছি। চট্টগ্রামে কমান্ডার হিসেবে আমাকে পিপিএম দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি এই প্রাপ্তি চট্টগ্রামের সোয়াট টিমের সকল সদস্যের। ’ বলেন মির্জা সায়েম
চুয়াডাঙ্গার সন্তান মির্জা সায়েম মাহমুদ সোয়াট টিমের কমান্ডার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ-এমবিএ সম্পন্ন করা মির্জা সায়েম ২০০৮ সালে ২৭ তম বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
আরডিজি/টিসি