শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন বিএসএফ’র ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের মহাপরিদর্শক সঞ্জিব রঞ্জন ওঝা। এসময় তিনি বরাবরের মতো আত্মরক্ষার প্রসঙ্গ টেনেই জবাব দেন।
চট্টগ্রামে বিজিবি’র দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নে বিজিবি-বিএসএফ চারদিনের সীমান্ত সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএসএফ’র প্রতিনিধি দলের প্রধান সঞ্জিব।
সমন্বয় সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবি’র প্রতিনিধিদলের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম জাহিদ হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে সঞ্জিব রঞ্জন ওঝা বলেন, সীমান্তে আমরা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করি না। এটা ভারত সরকার এবং বিএসএফ’র নীতি। প্রত্যেক জীবনই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। জীবন রক্ষার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।
‘তবে সীমান্তে অপরাধীরা যখন আমাদের উপর হামলা করতে উদ্যত হয়, পরিস্থিতি যখন একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, আক্রমণ ঠেকাতে এবং আত্মরক্ষার্থে আমরা গুলি চালাই। না হলে বাংলাদেশের কোনো সীমান্তে আমরা কখনোই প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করি না। ’ বলেন সঞ্জীব রঞ্জন ওঝা
তিনি বলেন, উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আন্ত:সীমান্ত সন্ত্রাসীদের কোনভাবেই প্রশ্রয় দেবে না এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখবে, এটাই আমাদের নীতি।
সংবাদ সম্মেলনে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গে কিছু বলেননি বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম জাহিদ হাসান।
সমন্বয় সভার বিষয়বস্তু তুলে ধরে তিনি বলেন, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আমরা গভীরভাবে আলোচনা করেছি। সন্ত্রাসী, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানী এবং মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে, এটা আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য। সীমান্তে যে কোন মূল্যে শান্তি বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সমন্বয় সভার মধ্য দিয়ে বিজিবি-বিএসএফ সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি রূপ পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন বিজিবির উপ মহাপরিচালক এম এম আনিসুর রহমান এবং বিএসএফ’র এমঅ্যাণ্ডসি ফ্রন্টিয়ারের মহাপরিদর্শক নারিন্দার সিং জামওয়ালার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
আরডিজি/টিসি