‘উইকিপিডিয়া ওয়ার্কশপ উইথ ক্রিস্টল স্টাইগেনবার্গার’ শিরোনামে এই কর্মশালা হয়েছে। ইডিইউর ইংরেজি বিভাগ ও উইকিপিডিয়ার বাংলাদেশি সংগঠন উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে নগরীর প্রবর্তক মোড়ের বর্ধিত অ্যাকাডেমিক ভবনে এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের অ্যাডভোকেট ক্রিস্টল স্টাইগেনবার্গার বলেন, উইকিপিডিয়ায় প্রতি মুহূর্তে যেসব তরতাজা তথ্য আপনারা সার্চ করলেই পেয়ে যাচ্ছেন, তার পেছনে কাজ করছে বিশ্বের অনেক দেশের টগবগে তরুণরা। একটি সঠিক তথ্য দিয়ে আপনি কিন্তু চাইলে সবার কাছে মহৎ হতে পারেন।
ক্রিস্টল সবাইকে তথ্য জানানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তুমি যা জানো তা নিজের মধ্যে না রেখে সবার ভিতর ছড়িয়ে দাও। এতে সেই তথ্যের মাধ্যমে সবাই উপকৃত হবে। আর তুমিও হয়ে যাচ্ছে ইতিহাসের একজন।
কর্মশালায় অতিথির বক্তব্যে ইরসিয়ার পেগাসাসে পুরস্কার প্রাপ্ত জার্মান কবি আর্মিন স্টাইগেনবার্গার বলেন, বাংলা উইকিপিডিয়ায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। এদেশের কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস-ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ, দেশের মানুষ, শিক্ষা, জীবনযাত্রা সবই এখন ঠাঁই পাচ্ছে সেখানে। এই সেক্টরগুলোর আপডেট তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে সেগুলো নতুনভাবে পরিচিত করার দায়িত্ব তোমাদের।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সাহিত্যপ্রেম বিশ্বখ্যাত। এখানকার কবি-সাংবাদিক ও লেখকরা অনেক বিখ্যাত। আমার ইচ্ছে আছে শিগগিরই এদেশের বাংলা কবিতা নিয়ে একটি সংকলন করবো।
ইডিইউর উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান উইকিপিডিয়ার এমন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিশ্বে নিজের দেশকে ফুটিয়ে তোলার আগ্রহ জন্ম নেবে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর মো. আকতারুজ্জামান, লেকচারার প্রবাল দাশ গুপ্ত, সাবরিন সরোয়ার, উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির সদস্য মহীন রীয়াদ প্রমুখ।
কর্মশালায় অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক শিক্ষার্থী মিনার মাহমুদ ও সালসাবিল আঞ্জুম মুমুর প্রাণবন্ত উপস্থাপন হলভর্তি দর্শকদের নজর কাড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
আরডিজি/টিসি