বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে নবম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধনকালে মেয়র এ মন্তব্য করেন। নগরীর জিইসির পেনিনসুলা হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে দ্যা বাংলাদেশ মনিটর।
মেয়র বলেন, আমাদের দেশ, চট্টগ্রাম অঞ্চল সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
অনাবিষ্কৃত অনেক পর্যটন কেন্দ্র অাছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যটকরা সন্ধ্যার পর কিছু করার থাকে না। কেনাকাটা করার মতো বিশ্বমানের কোনো শপিংমল নেই। ছোট ছোট বিষয়, অসুবিধা চিহ্নিত করতে হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইইউ ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এডিশনাল ডিআইজি (ট্যুরিজম) মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম (মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুল ইসলাম।
ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট ডেসটিনেশন করতে প্রয়াস চালাচ্ছি। এ বছর মে মাসে চট্টগ্রামে ২৫টি দেশের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক সম্মেলন করেছি। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের আস্থা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ২০১৬ এখাতে আয় হয়েছে ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ২২ লাখ মানুষ এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। গত বছর দেড়-দুই কোটি অভ্যন্তরীণ পর্যটক এবং ৫-৬ লাখ বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করেছেন।
মুহাম্মদ মুসলিম বলেন, পর্যটনের জন্য নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কক্সবাজার, পতেঙ্গাসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশের ইউনিট আছে। সাজেকেও একটি ইউনিট করা হবে।
সভাপতিত্ব করেন দ্যা বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যও দেশের পর্যটন শিল্প। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। দেশের পর্যটন বলতে আমরা বৃহত্তর চট্টগ্রামকে বুঝি। এখানে পর্যটনের অনেক স্পট রয়েছে। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকর্ষণীয় ডেসটিনেশন হতে পারে। তবে বিদেশি এয়ারলাইন চট্টগ্রামে সার্ভিস অপারেশন শুরু করে বন্ধ করে দিয়েছে। এটা ভেবে দেখতে হবে। চট্টগ্রামের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির অসুবিধা দূর করতে হবে।
সবার জন্য উন্মুক্ত এ মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় দর্শকদের ভিজিটিং কার্ডের ভিত্তিতে র্যাফল ড্র হবে। এতে ইউএস বাংলা ও রিজেন্ট এয়ারের সৌজন্যে দেওয়া হবে আকর্ষণীয় উপহার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
এআর/টিসি