প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শিশুটির মরদেহ বাসার অদূরে পাওয়া যায়।
সোহাগী বায়েজিদ বোস্তামি থানার কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর সড়কের ইউসুফ মিয়ার কলোনির বাসিন্দা মো.ইউসুফের মেয়ে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটির মুখে এবং শরীরের পিছনের অংশে নখের আঁচড়ের চিহ্ন আছে। বিকৃতি মানসিকতার কেউ সম্ভবত তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে। মুখ চেপে ধরায় নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করছি।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান এডিসি মিনান।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাসার পাশে খেলার সময় সোহাগী নিখোঁজ হয়। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে সোহাগীর দাদা সালাহউদ্দিন বাসার অদূরে শিশুটিকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ মঈন উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, সোহাগীকে তিনদিন বয়সে ছিন্নমূল এলাকা থেকে দত্তক এনেছিলেন ইউসুফ ও বকুল দম্পতি। পাঁচবছর আগে ইউসুফ ও বকুলের বিয়ে হয়েছিল। তিন বছর আগে তাদের এক সন্তান জন্ম নেওয়ার পর মারা যায়। এরপর তারা সোহাগীকে দত্তক নেন।
এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পরিদর্শক মঈন উদ্দীন।
এর আগে গত জুলাই মাসে একই বাসা থেকে দুই মাসের এক শিশু চুরি হয়েছে যার হদিস এখনো মেলেনি। এক মাস আগে ওই বাসায় আত্মহত্যার একটি ঘটনা ঘটে। প্রায় ৬ মাস আগে তিন বছরের এক শিশু বাসার পাশে ডোবায় পড়ে মারা যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
আরডিজি/টিসি