নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজারের ফলের দোকানে এমন দৃশ্য চোখে পড়বে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে মিশরের কাঁচা-মিষ্টি খেজুরে সয়লাব হয়ে গেছে চট্টগ্রামের অভিজাত ফলের দোকানগুলো।
কাজীর দেউড়ি বাজারের ফলের দোকানে কথা হয় বিক্রয়কর্মী আলমগীরের সঙ্গে।
স্টেশন রোডের ফুটওভার ব্রিজের নিচ দিয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজারে ঢুকতেই বাবুল সওদাগরের ফলের দোকান। বিক্রয়কর্মী আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচ কেজির কার্টনে ভরা কাঁচা খেজুরগুলো আমরা কেজি হিসেবেই বিক্রি করি। শুনেছি অভিজাত এলাকার দোকানগুলোতে সুদৃশ্য প্লাস্টিকের ঝুড়িতে ভরে এ খেজুর বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমরা ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ২৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত খুচরা বিক্রি করছি। বেশি নিলে দাম কম।
এ দোকানে খেজুরের দরদাম করছিলেন গৃহিণী আম্বিয়া খাতুন। তিনি বলেন, সৌদি আরব, দুবাই, আধুধাবি থেকে আত্মীয় স্বজন দেশে ফেরার সময় কিংবা হাজিরা দেশে আসার সময় কাঁচা খেজুর নিয়ে আসেন। তখন তবররক হিসেবে দু-চারটি দেওয়া হতো। এখন দেশে যখন বিক্রি হচ্ছে তাই পরিবারের সদস্যদের জন্য কিনছি। যদিও দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে।
স্টেশন রোডের বিআরটিসি এলাকার ফলমণ্ডির রেলওয়ে মেনস সুপার মার্কেটের মেসার্স মদিনা ফার্মের বিক্রয়কর্মী জানালেন, মিশরি কাঁচা খেজুর কয়েকদিন আগে পাঁচ কেজি ৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করেছি।
আরেকজন পাইকারি ফল বিক্রেতা জানান, দু’সপ্তাহ হলো বাজারে কাঁচা খেজুর এসেছে। প্রথম দিকে কার্টন (৫ কেজি) তিন হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায় দাম ঠেকেছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের ফ্রুটস গলির মেসার্স আলম অ্যান্ড ব্রাদার্সের মো. আলমগীর বাংলানিউজকে জানান, কাঁচা খেজুর এবারই প্রথম বাজারে এসেছে। সারা দেশে রমজানে খেজুরের চাহিদা বেশি থাকলেও চট্টগ্রামে সারা বছরই খেজুরের চাহিদা থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব ধরনের খেজুরই চট্টগ্রামে পাওয়া যায়।
তিনি জানান, বর্তমানে আজওয়াহ খেজুর কেজি ২ হাজার টাকা, আম্বার ১ হাজার ৮০০ টাকা, বেদুন বিচি বা বেদানা ১ হাজার ৭০০ টাকা, তিউনেসিয়ান ৪০০ টাকা, সৌদি সুপরি ৬০০ টাকা, রশিদিয়া ৪০০ টাকা, দাবাস ১৮০ টাকা, নাগাল ১৬০ টাকা, খোরমা ৮০ টাকা, বারারি ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
এআর/টিসি