শনিবার (১৪ অক্টোবর) ৪৮তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি কাজের, পণ্যের নির্দিষ্ট মান আছে।
তিনি মান নির্ধারণী অনুষ্ঠান ও কর্মসূচিতে সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ এবং অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্যের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শনের অনুরোধ জানান।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ‘নান্দনিক নগরায়নে মান’ প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে সবার ক্রয়ক্ষমতা সমান নয়। তাই পণ্যের ন্যূনতম মান নিশ্চিত করতে হবে। ভোক্তারা দাম, মান ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের ক্ষেত্রে পাকা রশিদ বা প্রমাণসহ অভিযোগ করলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যে জরিমানা করবে অভিযোগকারী তার ২৫ শতাংশ পাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন বলেন, উৎপাদক নিজের সন্তানকে যা খাওয়ান না সেই খাদ্য উৎপাদন করাকে ধর্মীয় মূল্যবোধের দৃষ্টিতে উপলব্ধি করতে হবে।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আসল পণ্য চেনার জন্য ভোক্তাদের সচেতন করতে হবে। আসল মোড়কের হুবহু তৈরি করা হচ্ছে নকল পণ্যের মোড়ক। নিম্নমানের ও ক্ষতিকর উপকরণে তৈরি পণ্যে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে, শারীরিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভোক্তাদের নমুনা পরীক্ষায় বিএসটিআই'র ফি কমানোর দাবি জানান তিনি।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসটিআই'র চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার পরিচালক মো. রেজাউল করিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি