ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গৃহকরের বোঝা কমাতে ২৩ সাবেক কাউন্সিলরের চিঠি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
গৃহকরের বোঝা কমাতে ২৩ সাবেক কাউন্সিলরের চিঠি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

চট্টগ্রাম: সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মনজুর আলমের পর গৃহকরের বোঝা কমাতে এবার ২৩ সাবেক কাউন্সিলর চিঠি দিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ২৩ সাবেক কাউন্সিলরের পক্ষে বকশির হাট ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ জামাল হোসেন চিঠিটি গণমাধ্যমে পাঠান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, চিঠিটি চসিকের ওয়েবসাইটে দেওয়া ইমেইল এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ইমেইলে পাঠানো হয়েছে।

১৯৮৬ সালের সিটি কর্পোরেশন টেক্সেশান রুলস পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এ আইন রহিত বা সংশোধন হলে দেশের সব নগরবাসী দ্বৈত ও অতিরিক্ত করের বোঝা থেকে মুক্তি পাবে। বীর চট্টগ্রামের নগর পিতা আপনি।

আপনাকেই উদ্যোগ নিতে হবে চট্টগ্রামে ৬০ লাখ নগরবাসীর অস্তিত্ব রক্ষার। আপনার সঙ্গে থাকবে চট্টগ্রামবাসী।

চিঠিতে বলা হয়, আইনের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য আইন। এই উচ্চহারের করের  বোঝা চট্টগ্রামবাসী বহন করতে পারবে না। ২০১০ সালে বিএনপি মনোনিত এম মনজুর আলম দায়িত্ব গ্রহণকালে চসিকের ১ লাখ ২৫ হাজার হোল্ডিংয়ের বিপরীতে গৃহকর দাবি ছিল ১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। তার আমলে (২০১১) পঞ্চবার্ষিকী পুনর্মূল্যায়ন করে ১ লাখ ৫৬ হাজার হোল্ডিংয়ের বিপরীতে গৃহকর দাবি করা হয় ১২০ কোটি টাকা। মনজুর আলমের  মেয়াদকালের অনেক আপিলের শুনানি আপনার আমলেও নিষ্পত্তি হয়। যা বর্তমানে নগরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে বিঁধেছে। এই গৃহকর নগরের প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষই নিয়মিত পরিশোধ করতে সক্ষম হয়নি।

২০১৫ সালে আপনি নির্বাচিত হওয়ার পর আপনার পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেন। কিন্তু বর্তমানে (২০১৭ সালে) ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৪৮ হোল্ডিংয়ের বিপরীতে গৃহকর দাবি করা হয় ৮৫১ কোটি ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৯ টাকা। সর্বশেষ গৃহকরের (১২০ কোটি) ওপর এক দফাতেই পুরাতন হোল্ডিংয়ে ৫২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৭ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে পঞ্চবাষির্কী কর পুনর্মূল্যায়নে বর্ধিত গৃহকর নগরবাসীর জন্য মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নগরীর বিশাল অংশ জলাবদ্ধতা ও জোয়ারের পানিতে বিধ্বস্ত ‍উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, মোহরা, ষোলশহর, বলুয়ার দীঘির পাড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর, বাকলিয়াসহ নগরের বড় একটি অংশের মানুষকে বছরের উল্লেখযোগ্য সময় বাস করতে হয় পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে। নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের ওপর এ হোল্ডিং কর জনগণের ওপর বিশাল এক বোঝা ছাপিয়ে দেওয়ার মতই। এটা বাস্তবায়িত হলে নগরীর সাধারণ, মধ্যবিত্ত ও নিজগৃহে বসবাসকারী স্থায়ী বাসিন্দারা দেউলিয়া হওয়ার শঙ্কা দেখা দেবে।

২৩ সাবেক কাউন্সিলর হলেন পেয়ার মোহাম্মদ, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, আবদুল মালেক, এএসএম জাফর, মোহাম্মদ আলী বক্স, মোহাম্মদ শহিদুল আলম, নুরুল হুদা লালু, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ এয়াকুব, জহির আহমদ চৌধুরী, মোহাম্মদ ইছহাক, জাভেদ নজরুল ইসলাম, বিজয় কিষান চৌধুরী, মোহাম্মদ সেকান্দর, মুহাম্মদ জামাল হোসেন, মোহাম্মদ হাসান লিটন, আবদুস সবুর লিটন, সরফরাজ কাদের রাসেল,  ডা. নুরুল আফছার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, হাসিনা জাফর, রেহানা বেগম রানু ও ফেরদৌস বেগম মুন্নী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।