আইনের ফাঁক গলে আশা যাতে বেরিয়ে যেতে না পারে সেদিকে প্রশাসনকে দৃষ্টি দিয়ে অন্যান্য আসামিদেরও শাস্তির দাবি জানান ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির একাংশ সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এরা ক্যাম্পাসে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত, স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, দলীয় পদ-পদবি বাতিল, তাপসের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মৃতিফলক স্থাপনসহ ৬ দফা দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘তাপসের হত্যাকারী আশার আত্মসমর্পণের পেছনে নিশ্চয় কোনো কিন্তু আছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতি এনামুল হক আরাফাত, নাসিরুদ্দিন সুমন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শরীফুল ইসলাম ও উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক সায়ন দাশগুপ্ত।
বুধবার চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করে তাপস হত্যা মামলার মূল আসামি আশারাফুজ্জামান আশা। আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ফেরার সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘ভি-এক্স’ ও ‘সিএফসি’। এসময় শাহজালাল হল থেকে একপক্ষের ছোড়া গুলিতে আহত হন শাহ আমানত হলের তৃতীয় তলায় থাকা তাপস সরকার। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় সংস্কৃত বিভাগের এই শিক্ষার্থীর। হত্যাকাণ্ডের পর তাপসকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করে সিএফসি।
ঘটনার দুদিন পর তাপসের বন্ধু হাফিজুল ইসলাম ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এরপরই আসামিরা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী দল পিবিআই ২০১৬ সালের ২ মে আদালতে চবি ছাত্রলীগের ২৯ জন নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয়। যেখানে সাবেক সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আশাকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এই মামলায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে আশা ছাড়া সকলেই জামিন নিয়ে বের হয়ে যায়। বর্তমানে মামলার ১৩ আসামি পলাতক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি