সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব।
তিনি জানান, এবার জেলার ১৫ উপজেলায় ১ হাজার ৫০৪টি সর্বজনীন ও ২৭৬টি পারিবারিক মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে একটি করে কেন্দ্রীয় মন্দির নির্মাণ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাতিল করে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক ফাউন্ডেশন গঠন, দুর্গোৎসবে চার দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা, বিজয়া দশমীর দিন সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা, অনাথ আশ্রম ও জেলখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন, সরকারি দপ্তরে বিজয়া পুনর্মিলনী আয়োজন, মেধস আশ্রমকে জাতীয় তীর্থস্থান ঘোষণা করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধি হিসেবে পূজা পরিষদের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠীর বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপারের সাথে সমন্বয় সভা করেছি। নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। পবিত্র রমজানে এমনকি কোরবানির দু-এক দিন আগে পরেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়েছে দেশে। এখানকার সাধারণ মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। তারপরও রোহিঙ্গা, আশুরাসহ যেকোনো ইস্যুকে পুঁজি করে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করতে না পারে সেজন্য পূজা কমিটির পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা মনে করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজ ধর্ম পালন করে আসছি, পালন করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এআর/টিসি