আড়তদারেরা জানিয়েছেন, আগে গ্রামগঞ্জে চামড়ায় লবণ দেওয়া হত না। আড়তে এনে লবণ দেওয়া হত।
জানতে চাইলে কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টি এবং যানজটের কারণে বৃহত্তর চট্টগ্রামের গ্রামগঞ্জের চামড়া এবার আড়তে আসেনি। কক্সবাজার, রাঙামাটি, রাউজান, ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া, পটিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার বেপারিদের কাছ থেকে আমরা খবর নিয়েছি। তারা নিজেরাই চামড়া লবণ দিয়ে রেখেছেন। শুকাতে এক সপ্তাহ লাগবে। এরপর সব চামড়া আড়তে আসবে।
‘গ্রাম থেকে চামড়া আসার পর সাড়ে পাঁচ লাখের টার্গেট আমরা পূরণ করতে পারব। ’ বলেন আব্দুল কাদের
প্রতিবছর কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেন নগরীর আতুরার ডিপো এলাকার আড়তদারেরা।
এদিকে চামড়া কম আসায় আতুরার ডিপোতে আড়তদারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়। এতে দাম বাড়িয়ে দেন মৌসুমী সংগ্রহকারী ও পাইকারি ক্রেতারা। ব্যবসা বাঁচাতে বাড়তি দামেই কাঁচা চামড়া কিনতে হয়েছে আড়তদারদের।
‘আমি না কিনলে আরেকজন কিনে নিচ্ছেন। চামড়া কম থাকায় কেনার জন্য সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিল। সরকার বলেছেন প্রতি বর্গফুট ৪০-৪৫ টাকায় কিনতে। আমাদের কিনতে হয়েছে ৫০-৫৫ টাকায়। এর সঙ্গে লবণ দেওয়া এবং শুকানোর খরচ আছে। ’ বলেন আবদুল কাদের
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির সভাপতি মো.সেকান্দর বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৩০ফুট পর্যন্ত হয়। ছোট গরুর চামড়া ২০ ফুট পর্যন্ত হয়। সরকারি দরে কিনতে হলে বড় গরুর চামড়া ১২০০-১৩০০ টাকা এবং ছোট গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৮০০-৯০০ টাকায় কিনতে হত।
এবার আগতেকাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে বড় গরু ১২০০-১৩০০ টাকায়। মাঝারি গরু ১০০০-১১০০ টাকায়। ছোট গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৭০০-৯০০ টাকায়।
এই দামের সঙ্গে প্রতিটি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার খরচ যোগ হবে ৩৫০ টাকা।
সেকান্দর বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছর ট্যানারি মালিকরা আমাদের অগ্রিম টাকা দেন। এবার দেননি। আমরা নিজেরাই লবণ কিনেছি। লবণের দামও বাড়তি ছিল। শ্রমিকের টাকাও আমরা অ্যাডভান্স দিয়েছি। এখন ট্যানারি মালিক যদি আমাদের বাড়তি দাম না দেয় তাহলে লোকসানে পড়ে যাব।
আড়তে যেসব চামড়া এসেছে রোববার থেকে সেগুলো লবণ দিয়ে শুকানোর কাজ চলছে। প্রতিবছরের মতো ১৫ দিন পর ট্যানারি মালিকরা এসে চামড়া নিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৭
আরডিজি/টিসি