শিশুটি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনার পর শিশুটির পরিবার যে বাসায় ভাড়া থাকতো সেখান থেকে বাড়িওয়ালা বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্র জানায়, শিশুটির বাবা একজন গাড়িচালক আর মা পোশাক শ্রমিক। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে শিশুটির বাসায় আল আমিন নামের ৩২ বছর বয়সী এক বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির যাতায়াত ছিল। গত ১৭ আগস্ট বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে আল আমিন। এরপর শিশুটিকে কিছু টাকা দিয়ে এই বিষয় কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখিয়ে সে পালিয়ে যায়।
পরে প্রতিবেশী এক নারী শিশুটিকে কান্না করতে দেখে তার কাছে এর কারণ জানতে চান। তখন সে কিছু বলেনি। পরে তার মা ফিরলে রাতে মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ওইদিন রাতেই শিশুটিকে চমেকের ওসিসিতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ারও প্রস্তাব দেন তারা।
এদিকে ওসিসিতে ভর্তি হওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসকরা এই ঘটনায় মামলা করার জন্য শিশুটির পরিবারকে বললেও তারা ভয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলায় আগ্রহ দেখায়নি। পরে পুলিশ তাদের আশ্বস্ত করলে এদিন রাতে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে ডবলমুরিং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
অন্যদিকে এই ঘটনার পর বাড়িওয়ালা শিশুটির পরিবারকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে সেই বাসায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে বিষয়টি জানানোর পর আমরা সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। পরে এই ঘটনায় মামলা করতে পরিবারকে আশ্বস্ত করি। মঙ্গলবার রাতে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। আমরা ধর্ষককে গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। ’
ধর্ষক আল আমিনের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর শফিপুর গ্রামে হলেও ডবলমুরিং থানার চৌমুহনি সিলেটি কলোনিতে থাকতো সে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
টিএইচ/টিসি