সোমবার (২১ আগস্ট) গরিবুল্লাহ শাহ স্টেশন, স্টেশন রোডের বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঘুরে এমন তথ্যই মিলেছে।
তবে বাসস্টেশনগুলোতে এখনও তেমন মানুষের ভিড় দেখা যায় নি।
দুপুরে গরিবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকার বাস স্টেশনে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে দেখা যায় এখনও প্রায় ফাঁকা। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতো যাত্রী যাচ্ছেন বাসে করে। যারা যাচ্ছেন তাদের প্রায়ই শিক্ষার্থী।
এই পরিবহন ঈদ উপলক্ষে দূরপাল্লায় অগ্রীম টিকেট ছাড়া শুরু করে ১৪ আগস্ট থেকে। কয়েকদিনের মধ্যে তাদের সব টিকেট বুকিং হয়ে গেছে। ঈদের আগের পাঁচদিনের সব টিকেটই বুকিং হয়ে গেছে এই পরিবহনের।
সেখানে কথা হয় কাউন্টারে টিকেট দায়িত্বে থাকা রূপকের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে আমরা ১৪ আগস্ট থেকে দূরপাল্লা অর্থাৎ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় সড়কপথে যাত্রার জন্য ২৭ থেকে ৩১ আগস্টের জন্য টিকিট বুকিং ছাড়ি। চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই সব টিকেট বুকিং করা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের দিনে ১৪-১৫টি বাস উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে যায়। এখন ওই পাঁচদিনের জন্য দূরপাল্লার কোনো টিকেট নেই। তবে ঢাকায় যাওয়ার টিকেট আছে। ’
এছাড়া শ্যামলির অন্যান্য কাউন্টারেও একইভাবে দূরপাল্লার ২৭ থেকে ৩১ আগস্টের সব টিকেট বুকিং দেওয়া শেষ বলে জানা গেছে।
স্টেশন রোড এলাকায় সৌদিয়া পরিবহনের একটি কাউন্টারে গিয়েও টিকেট বুকিং শেষ হওয়ার তথ্য মেলে। তবে তারা ২৭ আগস্ট না ২৮ থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অগ্রিম টিকেট ছাড়ে। তাদেরও এই পাঁচদিনের টিকেট বুকিং শেষ হয় বলে জানিয়েছেন কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা।
গরিবুল্লাহ শাহ এলাকার ইউনিক পরিবহনের কাউন্টারের হাসান নামের একজন কর্মকর্তা বলেন ঈদ উপলক্ষে দূরপাল্লায় তারা টিকেট বুকিং দেওয়া শুরু করেছে ১৮ আগস্ট থেকে। এই তিনদিনে তাদের প্রায় অর্ধেক টিকেট বুকিং শেষ। ঈদ উপলক্ষে দেশের উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আমাদের দৈনিক ১৫-১৬টি বাস যাবে। ’
তবে চট্টগ্রাম থেকে সোহাগ পরিবহনের উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে কোনো বাস যায় না। চট্টগ্রাম থেকে তাদের যাত্রা ঢাকা পর্যন্ত। ফলে তাদের অগ্রিম টিকেট বুকিংয়ের কোনো ব্যবস্থা এখনও করা হয়নি বলে জানান সোহাগ পরিবহনের গরিব উল্লাহ শাহ মাজার এলাকার কাউন্টারের কর্মকর্তা শামিম।
এছাড়া এস আলম, দেশ ট্রাবেলসসহ প্রসিদ্ধ অন্যান্য পরিবহনের বাস কাউন্টারে গিয়ে ঈদের আগের চার-পাঁচ দিনের সব টিকেট ইতিমধ্যেই বুকিং দেওয়া হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
কোরবানের ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি শুরু হতে পারে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। তবে পোশাক কারখানায় ২৮ আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে শুরু হবে ঈদের ছুটি। তবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হবে আরও আগে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে চট্টগ্রামে পড়তে আসা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ঘরযাত্রা শুরু হবে তাই আরও আগ থেকে।
তবে এখনও ঈদ উল আজহার তারিখ নির্ধারণ হয়নি। বুধবার (২৩ আগস্ট) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
ওইদিন দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে দশম দিনে (২ সেপ্টেম্বর) ঈদ-উল আজহা উদযাপিত হবে। আর ওই দিন চাঁদ দেখা না গেলে ৩ সেপ্টেম্বর ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদ দেখার এই হিসেবকে মাথায় রেখেই অগ্রিম টিকেট ছাড়ে বিভিন্ন পরিবহনের বাস কাউন্টারগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
টিএইচ/টিসি