বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে এই ছিনতাইয়ের ঘটনার পর কোতয়ালী থানা মামলা নিতে গড়িমসি করে। সাধারণ ডায়েরি দায়েরে বাধ্য করে আব্দুল হামিদ চৌধুরী নামে ওই কর্মকর্তাকে থানা থেকে বিদায় দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আব্দুল হামিদ ফটিকছড়ি ওভারসীজের ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে হেঁটে নন্দনকানন কাটাপাহাড় এলাকায় নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি।
‘আগ্রাবাদ জনশক্তি অফিস থেকে এসে রিয়াজউদ্দিন বাজারে আরেকটি ট্রাভেল এজেন্সি অফিসে যাই। সেখান থেকে হেঁটে নন্দনকানন অফিসে যাওয়ার সময় সিনেমা প্যালেস এলাকায় আমার ব্যাগটি ছিনতাই হয়। চিৎকার করেও আরো কোন সাহায্য পাইনি। ’
ব্যাগে কাতার ও ওমানের ভিসাযুক্ত দশজন লোকের ১০টি পাসপোর্ট ছিল বলে আব্দুল হামিদ জানান।
তিনি আরও জানান, কোতয়ালী থানায় মামলা করতে গেলে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য বলেন- পাসপোর্ট ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয় না। হারানো জিডি নেওয়া হয়। পরে একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে জিডি লিখে নিয়ে থানায় আসলে একটি কপি রেখে আরেকটি কপি আমাকে দেন কর্তব্যরত কর্মকর্তা।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কোতয়ালী থানায় কর্তব্যরত কর্মকর্তা শম্পা হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, যিনি জিডি করেছেন তিনি প্রথমে ছিনতাইয়ের কথা আমাদের বলেননি। সেজন্য ডায়েরি নেয়া হয়েছিল। ছিনতাইয়ের কথা শুনে তাকে আবারও থানায় আসতে বলা হয়েছে। এখন মামলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
আরডিজি/টিসি