ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস রেল সেতুর উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস রেল সেতুর উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস রেল সেতুর উদ্বোধন

চট্টগ্রাম: ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মেঘনা নদীর উপর নির্মিত দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতু ও তিতাস নদীর উপর নির্মিত তিতাস সেতু সেপ্টেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হবে।

এরই মধ্যে ট্রেন চালানোর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হযেছে। সেতু দুটি চালু হলে ভৈরব ও আখাউড়া স্টেশনে ক্রসিং ছাড়াই ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে রানিং টাইম কমে আসবে। বাড়ানো যাবে গাড়ির সংখ্যাও।

সেতুর প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবদুল হাই বাংলানিউজকে বলেন, সেতু দু’টির নির্মাণ কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসেই উদ্বোধন হবে।

ভারতের অর্থায়নে নির্মিত সেতু দু’টি দিয়ে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ ট্রেন চলাচল করতে পারবে জানিয়ে তিনি বলেন, মিটারগেজ ট্রেনের ব্যবহার কমে আসছে। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা উভয় ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে সেতু নির্মাণ করেছি। আগামীতে মিটারগেজ ট্রেন বন্ধ হলেও যাতে সেতু নির্মাণ করতে না হয়।

প্রকল্প পরিচালক জানান, মেঘনা নদীর উপর দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পে মোট ৯টি সেতু ও প্রায় ৮ কিলোমিটার এপ্রোচ রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৬ নম্বর ভৈরব ব্রিজের আগে ২৪, ২৫, ২৫-এ এবং পরে ২৭, ২৮, ২৯ নম্বর সেতুর সঙ্গে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার এপ্রোচ রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। এক নম্বর তিতাস রেল সেতুর সঙ্গে ১-এ সহ মোট দুটি সেতু ও ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার এপ্রোচ রেলপথ নির্মাণ করা হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবদুল হাই বলেন, ‘রেলওয়ে এপ্রোচসহ ৯৫৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ১৩৩ কোটি টাকা সরকারি তহবিল (জিওবি) ও ৮২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে ভারতীয় ঋণ সহায়তা (এলওসি)। ২০১০ সালের ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এরমধ্যে ১২টি পিলার ও ৯টি স্প্যান বিশিষ্ট ৯৮৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭ মিটার প্রস্থের ভৈরব সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। একইভাবে ১৯১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে তিতাস সেতু। ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।  

সেতু দুটিতে ডুয়েলগেজ ও ব্রডগেজ দুটি লাইন থাকছে। আগের পুরনো সেতুতে কেবল মিটারগেজ লাইন রয়েছে। ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ সরকার ঢাকা রেলওয়ে পথে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের সুবিধার্থে সেতুটি নির্মাণ করে। ডাবল লাইন না থাকায় ট্রেনগুলো যাতায়াতের সময় ক্রসিং করতে হয়। এতে ১০ থেকে ২০ মিনিট সময় নষ্ট হয়।

সেতু দুটি দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-নেয়াখালী, ঢাকা-চাঁদপুর রেলওয়ে পথে ট্রেনের রানিং সময় কমে আসবে।

রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে টঙ্গী থেকে ভৈরববাজার স্টেশন পর্যন্ত ডাবল রেললাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ডাবল লাইন চালুর ফলে এই অংশে এখন প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনসহ ৮৪টি ট্রেন চলাচল করছে।

দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস সেতু দুটি উদ্বোধনের পর ঢাকা থেকে আখাউড়ার মধ্যে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে। পরবর্তীতে ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে পুরোপুরি ডাবল লাইন চালু হলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।