তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্প, নগরীর লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্প এবং কর্ণফুলী তীরবর্তী কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এসব প্রকল্প ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় অনুমোদন দিয়েছেন।
শনিবার (১২ আগস্ট) নগরীর জিইসি মোড়ের ওয়েলপার্ক রেসিডেন্সে সিডিএ প্রস্তাবিত ও একনেক সভায় অনুমোদিত জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রাম কর্ণফুলীর পাড় থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত।
তিনি বলেন, শাহ আমানত থেকে বাকলিয়া-বহদ্দারহাট পর্যন্ত রোডের কাজ চলছে। বহদ্দারহাট জংশনের ওভারপাস আগে থেকে কমপ্লিট করা আছে। মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার ফ্লাইওভার প্রায় কমপ্লিটের পথে। লালখানবাজার থেকে ফ্লাইওভারটি যখন বন্দরের পাশ দিয়ে বিমানবন্দর চলে আসবে, তখন চট্টগ্রামের মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ ৩০ মিনিটে শাহ আমানত ব্রিজ থেকে আগ্রাবাদ যেতে পারবে। ’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবো। যা সমন্বয়ের মাধ্যমে এ বৃহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। ’
প্রকল্প অনুমোদনের পর থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান সিডিএ চেয়ারম্যান।
মতবিনিময়কালে সিডিএর নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন, উপ-সচিব অমল গুহ, বোর্ড সদস্য জসীম উদ্দিন, জসীম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান, সোহেল সাকুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি