বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে স্টেশন রোডের নূপুর মার্কেট এলাকায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফোরকান এলাহি অনুপম।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, বানিয়ার টিলার মোরশেদ আলমের ছেলে মো. রাজিব এবং দেওয়ানহাট আকবর শাহ মাজার এলাকার রহমত উল্লাহর ছেলে মো. পারভেজ সাপটি দেখতে পায়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় বাড়তি আয়ের আশায় চামড়া ছাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। অপরাধ স্বীকার করায় তাদের ছয় মাসের করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কোতোয়ালি থানার মাধ্যমে তাদের চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সাপটির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মো. ফোরকান এলাহি অনুপম।
চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বাংলানিউজকে বলেন, রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমরা মৃত অজগরটির ছয় কেজির মতো মাংস পেয়েছি। দুষ্কৃতকারীরা প্রথমে চামড়া ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সফল না হওয়ায় পরে মাংসগুলো টুকরা টুকরা করে ফেলেছে। হয়তো তারা মাংস হিসেবে বিক্রির চেষ্টাই করেছিল। কারণ সাপটির চামড়া এত বেশি ছিঁড়ে গেছে যে মনে হয় না চামড়া সংগ্রহই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল।
তিনি বলেন, আমাদের ধারণা সাপটি আট ফুট লম্বা ছিল। হয়তো খাদ্যাভাবে পাহাড়ি এলাকা থেকে সাপটি নেমে এসেছিল। আমরা আপাতত সাপটিকে (মাংসগুলোসহ) ফ্রিজে রেখে দিয়েছি। কঙ্কাল তৈরির চেষ্টা করবো।
সম্প্রতি ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলের পর থেকে বোয়ালখালী, মিরসরাই, সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন স্থানে অজগর সাপের আনাগোনা বেড়েছে। বেশ কিছু অজগর সাপ উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দিয়েছে বন বিভাগ।
বোয়ালখালীতে লোকালয়ে এসে ফের ধরা অজগর
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
এআর/টিসি