সোমবার দুপুরে বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদ দেখে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থেকে নোমান যোগাযোগ করেন চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসে। ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ওই পরিবারের জন্য বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন।
রাত ৮টার দিকে নোমানের পাঠানো টাকা পেয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন জুনুর মেয়ে কাউসার আক্তার। সহানুভূতি জানিয়ে অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও জানিয়েছেন কাউসার।
গত ২ আগস্ট গ্রন্থাগারের তিনতলায় টিন মেরামতের সময় পড়ে গিয়ে মারা যান জুনু মিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বপাশে বাড়ি তার। স্ত্রী, পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছিল সুখের সংসার। টানাটানি থাকলেও কোনোরকমে খেয়ে-পরে দিনপার করছিলেন।
জুনু মিয়ার পাঁচ মেয়েই পড়ালেখায় আছেন। দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি প্রাইমারি স্কুলে পড়ছে। ছোট ছেলেটির বয়স সবেমাত্র এক বছর।
কিন্তু পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন নিঃস্ব অবস্থায় পুরো পরিবারটি। জুনু মিয়ার মৃত্যুর পাঁচদিন পার হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ এখনো পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি।
কেউ ডাকবে বা সাহায্যের কথা জানাবে এই আশা নিয়ে সোমবার দুপুরে জুনু মিয়ার পুরো পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে ঘুরেছেন। তারপরও কেউ তাদের ডেকে কথা বলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
জেইউ/টিসি