বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বপাশে বাড়ি তার। স্ত্রী, পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছিল সুখের সংসার।
জুনু মিয়ার পাঁচ মেয়েই পড়ালেখায় আছেন।
কিন্তু পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে এখন নিঃস্ব অবস্থায় পুরো পরিবারটি। জুনু মিয়ার মৃত্যুর পাঁচদিন পার হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ এখনো পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি।
কেউ ডাকবে বা সাহায্যের কথা জানাবে এই আশা নিয়ে সোমবার দুপুরে জুনু মিয়ার পুরো পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে ঘুরেছেন। তারপরও কেউ তাদের ডেকে কথা বলেনি।
জুনু মিয়ার মেঝো মেয়ে কাউসার আখতার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা খুবই অসহায় অবস্থার মধ্যে আছি। আমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। কেউ আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের উপ-গ্রন্থাগারিক কিউ এম নুরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, গ্রন্থাগারের তৃতীয় তলায় টিন মেরামতের কাজ করার সময় নিচে পড়ে গিয়ে এক দিনমজুর আহত হয়েছিলেন। পরে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে তার পরিবারের কেউ আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য আসেনি। আসলে আমরা অবশ্যই সাহায্য করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা বলেন, আমরা আসলে জানতাম না যে তারা এসেছে। তাদেরকে সাহায্য করার বিষয়টি অবশ্যই দেখব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি