শনিবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে এই সংঘর্ষের সময় পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় আশপাশের সড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ ছিল।
সংঘর্ষের জড়িতরা নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন।
‘সাবেক মেয়র ও বর্তমান মেয়রের গ্রুপের ছেলেরা মারামারি শুরু করেছিল।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত নায়েক আবু হামিদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, মহসিন কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত চারজনকে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আরও চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা হলেন, মহসিন কলেজের গণিত বিভাগের সম্মান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মায়মুন উদ্দিন মামুন, স্নাতক (পাস) কোর্সের শেষ বর্ষের আনোয়ার হোসেন পলাশ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের জিসান, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের নূর উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের মনিরুল ইসলাম, ইংরেজি প্রথম বর্ষের ছিদ্দিক সোহান, দ্বাদশ শ্রেণির মোহাম্মদ আরমান এবং অর্থনীতি প্রথম বর্ষের হানিফ সুমন।
পুলিশ সূত্র জানায়, দুপুর ১টার দিকে চন্দনপুরা এলাকার ছাত্রলীগ নেতা নামধারী জনৈক রউফের অনুসারীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। রউফ বর্তমান মেয়রের অনুসারী। মহসিন কলেজের ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে এসময় তাদের বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া দেয় এবং লাঠিচার্জ শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসে।
দীর্ঘসময় ধরে শিবিরের দখলে থাকা চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও মহসিন কলেজ আড়াই বছর আগে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ছাত্রলীগ। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় আধিপত্যের দ্বন্দ্বে এই কলেজে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত এক মাসে মুখোমুখি ক্যাম্পাসের এই কলেজ দুটিতে কমপক্ষে পাঁচ দফা সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
আরডিজি/টিসি