রোববার দুপুরে নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে বাজেট অধিবেশনে অনুমোদনের পর ঘোষণা দেন মেয়র। এটি ছিল তার মেয়াদের তৃতীয় বাজেট।
সকালে কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে বাজেট অধিবেশনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ৬৬২ কোটি ৬৬ লাখ ১৮ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট পাস হয়।
এবার চসিকের নিজস্ব উৎসে আয় ধরা হয়েছে ৯৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরে এ খাতে আয় হয়েছিল ৩৬৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১ হাজার ২৯০ কোটি টাকা উন্নয়ন অনুদান ধরা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে পেয়েছিল ২৬২ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবায়নযোগ্য ও বাস্তবধর্মী আখ্যা দিয়ে মেয়র বলেন, আশাকরি এ বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব।
নতুন বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহনির্মাণ খাতে ২ কোটি টাকা, বাঙালি ঐতিহ্যের সঙ্গে শিশুদের পরিচয় ঘটাতে ৫ কোটি টাকা, অটিজম শিশুদের জন্য ২ কোটি টাকা, মাদক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানান মেয়র।
মেয়র বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দূষণনিরোধী ভস্মীভূতকরণ প্ল্যান্টসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৫৫০ কোটি টাকা ও বিভিন্ন এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সেবক নিবাস নির্মাণ বাবদ ৭১৯ কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৭১৮ কোটি টাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণসহ জাইকার অধীনে ৩২৪ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথে।
আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন চসিকের অর্থবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি, উত্তর মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ শফিউল আলম।
বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। উপস্থিত ছিলেন সচিব মো. আবুল হোসেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
এআর/টিসি